শারদীয়া মানেই তো একরাশ নস্টালজিয়া আর নতুনত্বের মেলবন্ধন। শহর জুড়ে এখন শুধুই সাজ সাজ রব। এক একটা মণ্ডপ যেন এক একটা নতুন গল্প নিয়ে আসে।
এ বছর তেমনই এক ভিন্ন স্বাদের গল্প বুনেছে টালা বারোয়ারি। এ বার তাদের বিষয়ভাবনা, ‘মধুসদন’।
নামের আড়ালে লুকিয়ে আছে ভারতের অন্যতম ঐতিহ্যশালী শিল্প, মধুবনী।
উজ্জ্বল রঙ, সূক্ষ্ম রেখা আর লোককথার ছোঁয়া মেখে যে শিল্প ইতিমধ্যেই হেরিটেজ তকমা পেয়েছে, তাকেই দুর্গাপুজোর মণ্ডপে নতুন রূপ দিলেন শিল্পী প্রশান্ত পাল।
৭৫-৩, পাইকপাড়া রো, বিধান সরণিতে দাঁড়িয়ে থাকা এই মণ্ডপ যেন এক রঙিন অ্যালবাম। প্রতিটি দেওয়াল, প্রতিটি খুঁটিনাটি সাজানো মধুবনীর নকশায়।
তবে এ শুধু রঙের বাহার নয়, দেশীয় উপাদানেরও বড় এক পরীক্ষাগার। বাঁশ, মুলি, চট, পাট, এমনকি কাগজের মণ্ড— সব কিছুর মিশেলেই তৈরি হচ্ছে মণ্ডপের শিল্পকর্ম।
ক্লাবের সদস্য স্পষ্ট করে বললেন, “আমাদের উদ্দেশ্য একটাই— মাটির গন্ধকে তুলে ধরে দুর্গাপুজোর ঝুলিতে আসা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে যোগ্য সম্মান দেওয়া। আমরা আমাদের দেশের শিল্পকলাকেই বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাই।”
রঙিন আলপনা, আলো-ছায়ার খেলা আর পল্লির ঘ্রাণে ভরা এই মণ্ডপ ঘিরে ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমছে।
ভিডিয়ো আর রিলবাহিত হয়ে তার প্রথম ঝলক ঘুরে বেড়াচ্ছে সমাজ মাধ্যমে।
উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস, মণ্ডপে পা রাখলেই মনে হবে দুর্গোৎসবের মধ্যেই জেগে উঠেছে ভারতীয় লোকশিল্পের অমর সুর। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।