দক্ষিণ কলকাতার দুর্গোৎসব মানেই চেতলা অগ্রণীর আলাদা টান।
এ বছর সেই মণ্ডপে দর্শনার্থীদের জন্য অপেক্ষা করছে এক চমকপ্রদ দৃশ্য– প্রায় এক কোটি ২৬ লক্ষ রুদ্রাক্ষ দিয়ে গড়া অভিনব সাজ।
থিম 'অমৃতকুম্ভের সন্ধানে', যা আসলে প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ বসুর জন্মশতবর্ষে এক বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য।
এই থিমের আড়ালে লুকিয়ে আছে বাংলা ও বাঙালির কিছু নীরব প্রতিবাদের ভাষা, যা শিল্পীর তুলিতে মণ্ডপে প্রাণ পাচ্ছে।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, নেপাল থেকে শুরু করে বেনারস আর উত্তরকাশীর মতো পবিত্র স্থান থেকে জোগাড় করা হয়েছে এই বিপুল সংখ্যক রুদ্রাক্ষ।
ত্রিপুরাসুরকে বধ করার সময়ে রুদ্র অর্থাৎ মহাদেবের চোখ থেকে যে জল ঝরে পড়েছিল, তা থেকেই নাকি রুদ্রাক্ষের সৃষ্টি। সেই কাহিনি ভিত্তি করেই সেজে উঠছে চেতলা অগ্রণীর মণ্ডপ।
প্রায় ২০০ শিল্পী গত কয়েক মাস দিনরাত এক করে কাজ করছেন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মেদিনীপুরের কারিগরদের হাতে গড়ে উঠছে এই বিশাল রুদ্রাক্ষের স্থাপত্য।
তবে লাগাতার বৃষ্টিতে মাঝে মাঝেই থেমেছে কাজ। তাই দর্শনার্থীদের জন্য দরজা খুলবে ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধে থেকে।
অগ্রণীর পুজো মানেই জনসমুদ্র। গত বছর পুলিশি হিসাবে দর্শকসংখ্যা ছিল এক কোটির বেশি।
ক্লাবের দাবি, এ বছর দেড় কোটি ছাড়াবে। ভিড় সামলাতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )