Banedi Bari Durga Puja

ডুব দিন সেকালের কলকাতার পুজোর আমেজে, শারদীয়ায় দেখে আসুন বনেদি বাড়ির উদযাপন

আলো ঝলমলে মণ্ডপ বা থিম নেই। আছে সাবেক প্রতিমা, পুরনো দিনের আভিজাত্য, ভক্তির আবহ আর পারিবারিক মিলনমেলার গল্প।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৬
Share:
০১ ১১

দুর্গাপুজো শুধু যে দেবীর আরাধনা, তা তো নয়। বরং বাঙালির আবেগ, উৎসব আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধন। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত তাই কলকাতা সেজে ওঠে আলোর বাহার, হরেক রকম থিম আর প্রতিমায়। আর তার মাঝেই এ শহরের ইতিহাসের মূর্ত প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বনেদি বাড়িগুলোর। যাদের সাবেক পুজো, ঐতিহ্য আর পারিবারিক আয়োজনে নতুন করে জীবন্ত হয়ে ওঠে ফেলে আসা দিনের দুর্গোৎসবের আমেজ। এ বার শারদীয়ায় দেখে আসতেই পারেন এমন কয়েকটি উদযাপন। তার আগে জেনে নেওয়া যাক ১০টি নামকরা বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোর গল্প।

০২ ১১

১. শোভাবাজার রাজবাড়ি: ১৮৫৭ সালে রাজা নবকৃষ্ণ দেবের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই পুজো। রাজবাড়ির পুজোয় অতিথি হয়ে আসতেন ব্রিটিশ কর্তাব্যক্তিরা। সেই তালিকায় আছেন লর্ড ক্লাইভও। ঢাকের তালে আজও রাজকীয় উদযাপনে মেতে ওঠে শোভাবাজার রাজবাড়ি।

Advertisement
০৩ ১১

২.জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি: এ পুজো স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের উদযাপন। আজও যা পালিত হয় একই জাঁকজমকে। মিলেমিশে যায় সংস্কৃতি আর ভক্তি।

০৪ ১১

৩.লাহা বাড়ি: বিখ্যাত জমিদার ও ব্যবসায়ী পরিবার। তাঁদের পূর্বপুরুষেরা কলকাতায় জমিদারি বিস্তার করার সময়েই দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। সেই থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সাবেক রীতিতে পুজো চলছে। এখানে দেবীর সাজে সোনার অলঙ্কার ও ঐতিহ্যবাহী রূপ বিশেষ ভাবে নজর কাড়ে।

০৫ ১১

৪.বদনচন্দ্র রায়ের দুর্গাপুজো: প্রায় ১৬০ বছরের পুরনো পুজো। এই পরিবারে এখনও প্রাচীন বৈষ্ণব রীতি মেনেই পুজো হয়। পশু বলির বদলে ফল বলি দেওয়া হয় এখানে।

০৬ ১১

৫.ছাতুবাবু-লাটুবাবুর দুর্গাপুজো : ১৮ শতকের শেষ দিকে তৎকালীন বিখ্যাত ব্যবসায়ী জমিদার দুই ভাই ছাতুবাবু ও লাটুবাবুর হাত ধরে এই পুজোর প্রচলন। সে সময়ে পুজোয় খরচ হতো বিপুল অঙ্কের টাকা। সমগ্র উত্তর কলকাতা জুড়ে এই উৎসবের আবহ ছড়িয়ে পড়ত।

০৭ ১১

৬. মল্লিকবাড়ি, বাগবাজার: ‘চৌরঙ্গীর মল্লিকবাড়ি’ নামেও খ্যাত এই পুজোয় আলাদা মাত্রা আনে সন্ধিপুজো, মহাঅষ্টমীর অঞ্জলি, ঢাক ও ধুনুচি নাচ। প্রতিমার সজ্জা ও ভোগের আচার এখানে ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

০৮ ১১

৭. শীল বাড়ি: শীল পরিবারের দুর্গাপুজো আজও উত্তর কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ। এক সময়ে এই পুজোয় অঢেল সোনাদানার ব্যবহার ঘিরেই এর খ্যাতি ছড়ায়।

০৯ ১১

৮.বসুবাড়ি, বাগবাজার: আনুমানিক ১৮ শতকের প্রথম দিকে বসু পরিবারের পুজো শুরু। তখনকার দিনে এই পুজো দেখতে ভিড় করতেন পাড়া-প্রতিবেশী, এমনকী দূরদূরান্ত থেকে আসা মানুষ।

১০ ১১

৯.মিত্রবাড়ি, বিহারীলাল স্ট্রিট: উত্তর কলকাতার বনেদি পুজোগুলির অন্যতম বিহারীলাল স্ট্রিটের মিত্রবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো এই পুজোয় প্রতিমা তৈরি হয় একেবারে একচালা সাবেকি ধাঁচে। দেবী এখানে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে পূজিতা।

১১ ১১

১০. চৌধুরী পরিবার: কলকাতার বনেদি পুজোগুলির মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য চৌধুরীদের পুজো। বলা হয়, প্রায় ১৭ শতকের শেষ দিকে এই পরিবারের দুর্গাপুজোর সূচনা। সে সময়ে পুজোর জাঁকজমক ছিল দেখার মতো। শুরু থেকেই এখানে প্রতিমা একচালার। (এই প্রতিবেদনটি “আনন্দ উৎসব” ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement