থিক থিক করছে মাথা, যাকে বলে জনজোয়ার। চন্দননগরের ছবিটা দেখে বেশ স্পষ্ট জগদ্ধাত্রী পুজোর উচ্ছ্বাস।
চন্দননগরে গিয়ে দেবী দর্শনের সাধ কার না জাগে! তবে পাশাপাশি অনেকেই ভয় পান এখানকার ভিড়কে।
তেমন হলে খাস কলকাতার বুকেই কিন্তু রয়েছে সমাধান।
কলকাতার এই বনেদি বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো হতাশ করবে না কাউকেই।
বৌবাজারের সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারের কাছে এক দিনেই এই পুজো হয় বেশ সাড়ম্বরে।
যদিও বাইরে থেকে দেখলে বোঝাই যায় না যে বাড়ির ভিতরে রয়েছে আস্ত এই মন্দির।
কেদারনাথ কর্মকারের হাত ধরে প্রথম স্থাপিত হয় এই মন্দির।
শোনা যায়, ১২৯৮ বঙ্গাব্দে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।
সকাল এবং সন্ধেয় দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে দরজা। বাকি সময়ে বন্ধ।
এক তলার এই মন্দিরের উঠোনে ডান ও বামে রয়েছে থামযুক্ত বারান্দা এবং ঘর।
উঠোনের পূর্ব দিকে বারান্দা এবং পিছনের গর্ভগৃহে ঘোটকমুখী সিংহের উপরে উপবিষ্টা দেবী।
দশকের পর দশক ধরে মন্দিরটির দেখাশোনার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রতিষ্ঠাতার বংশধরেরা। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)