সিদ্ধিদাতার জনপ্রিয়তা কেবলমাত্র মহারাষ্ট্রতেই সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়েছে বাংলাতেও। কিছু বছর আগেও কলকাতায় গণেশ পুজো নিয়ে তেমন উন্মাদনা দেখা যেত না।
এখনও অবশ্য পুরো ভোলই বদলেছে বাঙালির। এখন বারো মাসের তেরো পার্বণের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও একটি পার্বণ। আর তা হল গণপতির আরাধনা।
গোটা শহর জুড়েই এখন বাপ্পার পুজোর তোড়জোড় তুঙ্গে। জাঁকজমক এবং সৃজনশীলতার নিরিখে শহরের কিছু গণেশ পুজো হার মানায় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিকেও।
গণেশ চতুর্থী তো এসেই গেল। ঘুরে দেখা যাক কলকাতার সেরা কিছু গণেশ পুজো।
লেক কালীবাড়ির গণেশ পুজো- শ্রী শ্রী ১০৮ করুণাময়ী কালীমাতা মন্দিরের প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই গণেশ পুজো দক্ষিণ কলকাতার বৃহৎ পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম।
রঙিন অলঙ্কার এবং ঐতিহ্যবাহী শৈল্পিক তুলির টানে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে বাপ্পার রূপ।
কলকাতায় বসেই মুম্বইয়ের গণপতি উৎসবের স্বাদ নিতে চান? ভবানীপুরের গণেশ পুজোয় এলে ঠিক এমনই আমেজ পাবেন। মূলত মুম্বইয়ের প্রবাসীরাই এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। এমনকি এখানকার গণেশ প্রতিমাও প্রচীন মহারাষ্ট্রীয় শৈলী দ্বারা অনুপ্রাণিত।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার- ঐতিহ্য, শিল্প এবং সৃজনশীলতার মেলবন্ধন যদি কিছু হয়, তা নিঃসন্দেহে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের গণেশ পুজোর সঙ্গে তুলনা করা যায়। অসাধারণ মণ্ডপসজ্জা এবং অভিনব থিম পুজোর জন্যেই বিখ্যাত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের গণেশ পুজো।
মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি- মহারাষ্ট্রীয় ঘরানা এবং আবেগের সঙ্গে বাঙালির ঐতিহ্যের অপরূপ মেলবন্ধন।
দক্ষিণ কলকাতা প্রত্যয়- ল্যান্সডাউন মার্কেটে অবস্থিত প্রত্যয় গণেশ পুজো দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম সেরা পুজোগুলির মধ্যে একটি। এর বিশালাকার প্রতিমা, চোখ ধাঁধানো সাজসজ্জা দর্শনার্থীদের মূল আকর্ষণের কারণ।
সল্টলেক- এ ছাড়াও সল্টলেক এলাকাতেও বড় করেই উদ্যাপিত হয়ে থাকে গণপতি উৎসব। অতিমারির সময়ের কথা মনে আছে তো? অভিনব উপায়ে ডিজিটাল মাধ্যমেই বাপ্পার আরাধনা নিয়ে আয়োজকেরা পৌঁছে গিয়েছিলেন সকলের ঘরে ঘরে। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )