কালী আরাধনার এক অনন্য স্বাতন্ত্র রয়েছে নদিয়া জেলার শক্তিনগরে। এখানকার পাঁচমাথা মোড়ে একইসঙ্গে ন'টি রূপে দেবী কালীর পুজো হয়। একই মণ্ডপে আলাদা-আলাদা কক্ষ তৈরি করে নবরূপে প্রতিষ্ঠা করা হয় তাঁকে। নয় রূপে কালীর পুজো করেন ন'জন পুরোহিত। পুজোর সময়ে ঢাকের বাদ্যি মন ভরিয়ে দেবে।
প্রথমেই যে রূপে দেবীকে দেখতে পাওয়া যাবে, সেটি হল তারা! অর্থাৎ - তারাপীঠের দেবী হিসাবে কালী এখানে পূজিতা হন।
এর পরের কক্ষেই থাকেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাঁর পুজো হয় মূল মন্দিরের রীতি মেনেই।
কালীর আরও একটি রূপ হল সিদ্ধেশ্বরী। এই মণ্ডপের তৃতীয় কক্ষে তাঁর দেখা মিলবে।
যে কালীর আরাধনা এক সময়ে মূলত ডাকাত ও তান্ত্রিকরা করতেন, সেই শ্মশান কালীর পুজো হয় মণ্ডপের চতুর্থ কক্ষে।
শ্মশান কালীর পাশেই অর্থাৎ, মণ্ডপের পঞ্চম কক্ষে পূজিতা হন রক্ষা কালী।
এর পরে দেখা মেলে বাঙালির বহু পরিচিত, দেবীর স্নিগ্ধ রূপ শ্যামা কালীর। ষষ্ঠ কক্ষে থাকেন তিনি।
পরের কক্ষে দেবীকে আমরা যে রূপে দেখতে পাই, সেই রূপে তিনি পূজিতা হন আদ্যাপীঠে। অর্থাৎ এই সপ্তম কক্ষে থাকেন আদ্য়াপীঠের কালী।
দেবী কালীকে আনন্দময়ী রূপেও নানা জায়গায় পুজো করা হয়। এখানেও পালিত হয় সেই প্রথা। আনন্দময়ী থাকেন অষ্টম কক্ষে। দেবী কালীকে আনন্দময়ী রূপেও নানা জায়গায় পুজো করা হয়। এখানেও পালিত হয় সেই প্রথা। আনন্দময়ী থাকেন অষ্টম কক্ষে।
মণ্ডপের একেবারের শেষের, অর্থাৎ নবম কক্ষে অবস্থান করেন কলকাতার কালীঘাটের কালী। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।