নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহর। চন্দননগরের পাশাপাশি জগদ্ধাত্রী আরাধনায় এর জৌলুস ফিকে হয়নি আজও। আর হবেই বা কী ভাবে! মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় নিজে এই শহরে সূচনা করেছিলেন এই পুজোর।
থিম ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে শতাব্দী পেরিয়েও আজও সর্বজনবিদিত কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী। এই পুজোর আবহেই দেখে নেওয়া যাক সেরা কিছু থিম ও ভাবনাকে।
কৃষ্ণনগর স্টেশনে নেমে প্রথমেই চলে যেতে হবে চৌধুরী পাড়া বারোয়ারিতে। চলতি বছর তাদের থিম ক্যালিফোর্নিয়ার লক্ষ্মী মন্দির।
এর পর আসতে হবে পাঁচমাথা মোড় বারোয়ারিতে। এই বছরের থিম ভাঙরি গোলা। বোঝাই যাচ্ছে সমস্ত রকম ভাঙরি উপকরণ দিয়েই সেজে উঠেছে মণ্ডপ।
‘অভিশপ্ত গ্রাম’ দেখতে চান? জগদ্ধাত্রী প্যান্ডেল দেখতে চলে আসতে হবে অঞ্জনাপাড়া বারোয়ারিতে।
শক্তিনগরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য পুজো হল এখানকার শক্তিনগর এম এন বি পুজো। এই বছরে এর ভাবনা, ‘কাল্পনিক’।
দক্ষিণ কৃষ্ণনগরের ‘কালীনগর অনন্যা’র পুজো দেখতে এমনিই আপনি ছুটে যাবেন ‘মাটির টানে’। চলতি বছরে তাদের ভাবনাই এটি।
এর পরেই পড়বে কালীনগর গভর্মেন্ট কলোনী। এখানে গেলেই দেখা যাবে ‘কৈলাশে তাণ্ডব’।
‘হারানো শিল্প’ দেখতে চলে যেতে হবে রথতলা সাপুড়িয়া পাড়াতে।
এখানে দেবী দর্শন হয়ে গেলেই চলে আসতে হবে কালীনগর রেনবোতে। যেখানে দেখা মিলবে ‘দিল্লির অক্ষরধাম মন্দির’-এর!
এর পরই চলে যেতে হবে তাঁতিপাড়া বারোয়ারির ‘বড় মা’-এর কাছে।
কৃষ্ণনগরে বসেই রাজস্থানের নির্যাস পাবেন চকের পাড়া বারোয়ারিতে। এই বছরের ভাবনা ‘রাজস্থানের নারীকথা’।
এর পরেই আমিনবাজার বারোয়ারিতে মিলবে তিরুপতি বালাজি মন্দিরের দর্শন।
‘বুড়ি মা’-এর ‘ছোট মা’-এর দর্শন না করে কি ফেরা যায়! এর জন্য যেতেই হবে ‘কাঁঠালপোতা বারোয়ারি’তে।
আকর্ষণের কেন্দ্রে রাধানগরের দুই পুজো। নতুন বারোয়ারির এই বছরের থিম ‘দায়বদ্ধতা’। অন্য দিকে আদি বারোয়ারি সেজে উঠেছে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ভাবনায়।
রাধানগরের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পুজো হল রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারির পুজো। এই বছরের ভাবনা ‘দুধ সাগর জলপ্রপাত’।
এর পর ‘ক্লাব প্রতিভা’য় পাবেন হায়দরাবাদের উমেশ সিংহ প্যালেস,
বাংলা শিল্পের সাবেকিয়ানায় মোড়া ঘূর্ণি ভাই ভাই। ঘূর্ণির নবারুণ সঙ্ঘের থিম, ‘চাই না হতে উমা’। এর পর ঘূর্ণির স্মৃতি সঙ্ঘের থিম, ‘সোনার খনি’।
ফের বাস্তবতার ছোঁয়া ঘূর্ণি আদি ঘরামি পাড়া বারোয়ারির পুজোয়। উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বিপর্যয়।
ষষ্ঠীতলা বারোয়ারির পুজো দেখতে ভুলবেন না যেন। এই বছরের থিম ‘ম্যাজিক’।
কৃষ্ণনগর ‘বুড়ি মা’-এর দর্শন ছাড়া তো জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখাই অসম্পূর্ণ। কৃষ্ণনগরবাসীর কাছে এই পুজো যেন এক আবেগ। আগামী ৩০ অক্টোবর বিধি মেনে হবে সপ্তমীর পুজো। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)