জগদ্ধাত্রী পুজো, আর চন্দননগরে যাওয়ার পরিকল্পনা হবে না, এমনটা হতেই পারে না। বিশেষ করে বছরের এই সময়টাতেই দূরদূরান্তের মানুষের প্রধান আকর্ষণের কারণ হয়ে ওঠে একদা ফরাসি উপনিবেশ এই চন্দননগর।
এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় আপনার গন্তব্য-ও যদি চন্দননগর হয়ে থাকে, তা হলে ঘুরতে ঘুরতে দেখে আসতেই পারেন এই ঠাকুরগুলি।
দেখতে দেখতে ৫৬তম বর্ষে পা দিল ‘সুভাষপল্লি সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী কমিটি’। চন্দননগর স্টেশন থেকে মাত্র দু’মিনিট হাঁটলেই পেতে পারেন দেবীর দর্শন।
চন্দননগরের ‘সার্কাস মাঠ সর্বজনীন’ আরও একটি নজরকাড়া পুজোর ঠিকানা। মানকুণ্ডু স্টেশনে নেমে হাঁটাপথ। চলতি বছর ৫৪ বছরে পদার্পণ এই পুজোর।
সার্কাস মাঠের প্রায় উল্টো দিকেই রয়েছে চারাবাগান বালক সংঘ সর্বজনীন।
দশকের পর দশক পেরিয়ে আসা ‘পালপাড়া সর্বজনীন’ তালিকায় থাকবে না, তা কী ভাবে হয়! এর আলোকসজ্জা এবং প্রতিমার রূপ বরাবরই মুগ্ধ করে সকলকে। এই বছর পুজোর বয়স বেড়ে ৮১তে।
ডাকের সাজের শ্বেতশুভ্র বেশ দেবীর। বলা হয়, হুগলির সবথেকে পুরনো পুজো নাকি এই ‘তেঁতুলতলা’র জগদ্ধাত্রী পুজো।
নিরাশ করে না ‘অম্বিকা অ্যাথলেটিক ক্লাব’ও। মানকুণ্ডু স্টেশন থেকে দুই কিমি দূরে এই পুজো এই বছর ৫৫ বছর পূর্ণ করবে।
চন্দননগরের অন্যতম বিখ্যাত পুজো হল ‘চন্দননগর হেলাপুকুর সর্বজনীন’। স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত দেবী এবং বাহন সিংহের থেকে চোখ ফেরানো দায়। চলতি বছর এটিও পূর্ণ করবে ৫৫ বছর।
মানকুণ্ডু স্টেশন থেকে কিছুটা দূরেই পাবেন পুজোটিকেও। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে হয়ে আসছে নতুনপাড়ার এই পুজো।
তালিকায় ‘বাগবাজার সর্বজনীন’ থাকবে না, তা কী ভাবে হয়! চন্দননগরের অত্যন্ত পুরনো পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজোর ২০০ বছর পা দিতে আর ১ বছরের অপেক্ষা।
থিম পুজোর ভিড়ে স্বমহিমায় উজ্জ্বল ‘বোড় তালডাঙা’ পুজোটি। প্রতি বছরই প্রথা মেনে দেবীকে সাজানো হয় ডাকের সাজে। ‘বাগবাজার সর্বজনীন’-এর পুজো দেখে হাঁটতে হাঁটতেই পৌঁছে যাবেন ৫১ বছরের এই পুজোয়।
‘চাউলপট্টি সর্বজনীন’-এ দেবী ‘জগদ্ধাত্রী’ নন, তিনি হলেন দর্শনার্থীদের ‘আদি মা’। বলা হয়, দেওয়ান ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী নিজে এখানে পুজো শুরু করেছিলেন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)