দুর্গাপুজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজোকেও হেরিটেজ তকমা দেওয়া যায় কিনা তাই নিয়ে গবেষণা চলছে। আর জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই বাংলার যে দুটো জায়গার নাম উঠে আসে তার একটি হল চন্দননগর।
এই বছর চন্দননগরে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন? তা হলে জেনে নিন। এই শহরের সর্বোচ্চ ৫ প্রতিমা কোনগুলি।
চন্দননগরের অধিকাংশ প্রতিমার উচ্চতাই ২৫ থেকে ২৮ ফুট। আর এই প্রতিমা দেখতেই প্রতি বছর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন। তবে এর মধ্যে এমন ৫ প্রতিমা আছে যেগুলি প্রায় গগনচুম্বি।
আর সুউচ্চ জগদ্ধাত্রী প্রতিমার নাম বলতে গেলে সবার আগে বলতে হবে বাগবাজার সর্বজনীনের নাম। এই পুজোর বয়স প্রায় ২০০ ছুঁই ছুঁই। এই পুজো কমিটির প্রতিমার বিশাল বড় হয়।
বেশোহাটা সর্বজনীনের প্রতিমার উচ্চতা ২১ ফুট হলেও সাজসজ্জা মিলিয়ে সেই উচ্চতা দাঁড়ায় প্রায় ৩৩ ফুট।
ফটকগোড়া সর্বজনীনের প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ৩১ ফুটের কাছাকাছি।
লালবাগান সর্বজনীন চন্দননগরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পুজো। এখানকার প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ৪৩ ফুট।
তেমাথা সর্বজনীনের দেবী মূর্তি দেখতে গেলেও ঘাড় উঁচু করেই দেখতে হয়। এখানকার প্রতিমার উচ্চতা ৩৯ ফুট ছাড়িয়ে যায় সাজসজ্জা মিলিয়ে।
কিন্তু কেন এত উঁচু প্রতিমা হয়ে থাকে চন্দননগরে? এই নিয়ে বিভিন্ন জনশ্রুতি আছে।
কারও মতে জগদ্ধাত্রী যেহেতু গোটা জগৎকে ধারণ করেন তাই তাঁর উচ্চতা এবং আকার বড় হয়।
আবার কারও মতে, ছোট থেকেই এমন সুউচ্চ প্রতিমা দেখে এসেছেন তাঁরা। তাই সেই রীতি ধরে রেখে প্রতি বছরই প্রায় একই উচ্চতার প্রতিমা নির্মাণ করা হয়।
কারণ যাই হোক না কেন, চন্দননগর এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর উন্মাদনা যে সমার্থক সেটা বলাই যায়। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।