শত বছর পুরনো এই পুজো দেখতে গেলে গ্রামের পুজোর স্বাদ পাওয়া যাবে, তাও কলকাতা থেকে মাত্র ২০-২২ কিলোমিটার গেলেই!
এই বাড়ির পুজোয় হয়তো সেই অর্থে জাঁকজমক নেই, প্রচার নেই। তবে আছে আন্তরিকতা।
আশুতোষ হালদার শুরু করেন এই পুজো। দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু করেন এই পুজো।
বৈষ্ণব মতে এই বাড়িতে পুজো করা হয়।
প্রথম যখন স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু হয়, তখন কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা এনে পুজো করা হয়।
পঞ্চমীর দিন হালদার বাড়িতে নাড়ু পাকানোর মাধ্যমে শুরু হয় দুর্গাপুজো। ষষ্ঠীর দিন অন্যান্য সমস্ত জায়গার মতো এখানেও বোধন হয়।
সপ্তমীর সকালে হালদার বাড়িতে কলাবউ স্নান হয়। বিকেলে পতাকা তৈরি হয় এবং দশদিকপালের ঘট বসানো হয়।
দশমীর দিন দেবীকে প্রদক্ষিণ করে বাড়ির সবাই অঞ্জলি দেন।
এ দিন দেবীর জন্য ভোগে থাকে পান্তা, কচুশাক এবং চাটনি। পুজোর এক দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই বাড়ির পুজো দেখতে আসতেই পারেন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।