বনেদি বাড়ির সঙ্গে দুর্গাপুজো যেন ওতপ্রতো ভাবে জড়িত। এক এক স্থানে সাড়ম্বরের সঙ্গে পূজিত হন দেবী কালিকাও।
কিন্তু জানেন কি, হাওড়ার এই বাড়িতে মহাসমারোহে আয়োজন করা হয় জগদ্ধাত্রী পুজোর?
হ্যাঁ, জগদ্ধাত্রী আরাধনার এই কয়েকটি দিন চর্চায় থাকে উলুবেড়িয়ার বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার।
প্রায় ৩৫০ বছরেররও বেশি সময় ধরে ধুমধাম করে পুজো হয়ে আসছে এখানে।
এই পুজো ঘিরে রয়েছে নানা ধরনের অলৌকিক ঘটনাও।
এখানে দেবী জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে একই সঙ্গে পূজিত হন দেবী শীতলা।
পুজোর সূচনা করেন সর্বেশ্বর বন্দোপাধ্যায়।
স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পরই দেবী জগদ্ধাত্রীর সঙ্গে মা শীতলার পুজো শুরু হয়েছিল।
জন্মাষ্টমী থেকে পড়ে যায় ঢাকে কাঠি। শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ।
দেবী সেজে ওঠেন ডাকের সাজে। দেবী প্রতিমার শাড়ি, মাথার মুকুট থেকে শুরু করে অলঙ্কার, সব কিছুতেই থাকে মৃৎশিল্পের ছোঁয়া।
নিয়ম নিষ্ঠা মেনে এক দিনেই ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত পুজো হয়।
দেড় মণ আতপ চালের অন্ন, খিচুড়ি, ভাজা, তরকারি, মাছ চাটনি ইত্যাদি নিবেদন করা হয় ভোগে।
সন্ধ্যায় দেবী শীতলাকে দেওয়া হয় লুচি, ক্ষীর, নাড়ু ও ছানা।
পুজোয় রয়েছে বলিপ্রথাও। তবে বলি দেওয়া হয় ৪টি চালকুমড়ো ও ৪টি আঁখ। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।