Durga Puja 2023 Theme

এরা ফেরাতে চায় ঘরে ঘরে আলপনা

যাদবপুরের পল্লীমঙ্গল সমিতি। এবারে এদের পুজোর ভাবনায় আলপনা।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩২
Share:

বাড়ির তুলসী তলা কিংবা উঠানের মাঝে হাতের নকশা সেজে উঠেছে। বাদ যায়নি ঘরও। আলপনা। গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য। দুর্গা পুজো হোক বা লক্ষ্মী- সরস্বতী পুজো। কিংবা নতুন ধান উঠলে অর্থাৎ ‘নবান্নে’র সময় বাংলার ঘর আলপনায় ভরে উঠতো। হরেক রকমের নকশা দেখা যেত। এখন খুব অল্প বাড়িতে এটা দেখা যায়। বিলুপ্তের দিকে আলপনা। সেই দিকটাই মাথায় এই বার নিজেদের পুজোর মণ্ডপ তৈরি করছে যাদবপুরের পল্লীমঙ্গল সমিতি।

Advertisement

১৯৬০ সালে পুজো শুরু করে এই সমিতি। এই বছর তাঁদের ৬৪ বছরের পুজো। থিমের নাম তারা দিয়েছেন ‘এসো আলপনা দিই’। কিছু বছর আগে পর্যন্ত বাড়ির মঙ্গল কামনা করে আলপনা দেওয়া হত।

এখন সেই রীতি ভুলে প্লাস্টিকের কৃত্রিম আলপনা দেওয়া হয়। সমাজকে আলপনার ঐতিহ্য ভুলে না যাওয়ার বার্তা দিতেই এই থিম বেছে নেওয়া বলে জানাচ্ছেন ক্লাব কর্তারা। পুজো মণ্ডপ তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে খড়, মাটি, দড়ি, লোহার কাঠামোও থাকছে। উপর থেকে দেখলে মনে হবে আলপনা দেওয়া হয়েছে। ঠাকুরের জায়গায় পুরনো বাড়ির আদল তুলে ধরা হচ্ছে। প্রতিমাতেও চমক থাকছে। প্রতিমা দেখে মনে হবে তা পটচিত্র। এমনটাই দাবি ক্লাবের। ১৬ তারিখ সর্বধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। একাদশীর দিন প্রতিমা বির্সজন করা হবে।

Advertisement

থিম শিল্পী ও প্রতিমা শিল্পী- পূর্ণেন্দু দে

যাবেন কী করে- যাদবপুর স্টেশন থেকে নেমে ৮বি বাস স্যান্ড থেকে অটো ধরে তালতলা ইডিএফ মাঠের সামনে নামতে হবে। এখানেই পুজো।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন