প্রতীকী চিত্র
সেলের দামে জিনিস লুফে নিতে তো সবাই চায়। তার জন্য অপেক্ষার আর বেশি দিন নেই। সামনেই তো পুজো। ঘরে আনতেই পারেন নতুন ফ্রিজ অথবা ল্যাপটপ। টিভি কেনার কথা ভাবছেন? শুধু বড় স্ক্রিনের পিছনে ছুটবেন না। কেনার আগে মাথায় রাখুন এই টিপস্গুলিও।
টিভি মানেই হতে হবে স্মার্ট টিভি! চাই বড় স্ক্রিন। কিন্তু জানেন কি, আপনার জন্য টিভির কেমন সাইজ উপযুক্ত, তা বলে দেবে টিভির থেকে আপনার বসার দূরত্ব। যতই আকর্ষণীয় লাগুক না কেন, বসার ঘরে মাপের উপরেও নির্ভর করে স্ক্রিনের সাইজ। ৪৩ ইঞ্চি হোক অথবা ৬৫ ইঞ্চি, আগে দেখে নিন কোন মাপের স্ক্রিন আপনার ঘরে ভাল লাগছে।
ডিসপ্লের গুণগত মানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ ক্ষেত্রে। ‘এএলডি’, ‘কিউএলডি’, ‘ওএলডি’- এই শব্দগুলির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। টিভি কেনার আগে এগুলিকেই মাথায় রাখবেন। ‘এলইডি’ টিভির কথা তো জানেনই। ‘কিউএলইডি’ টিভিতে এলইডির পরিবর্তে কোয়ান্টাম ডটস থাকে। আর ‘ওএলইডি’তে আলো উৎপাদন করে পিক্সেল। এই ধরনের টিভি দামেও বেশ উচ্চ। একটু খরচ কমাতে ‘এলইডি’র দিকে হাত বাড়াবেন, তা হলে কিন্তু গুণগত মানের সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।
ছবির রেজলিউশনের দিকটিকেও ভাল করে পরখ করে নিন। খুবই উচ্চমানের রেজলিউশন যেমন ‘৪কে’ বা ‘৮কে’র মতো টিভিতে দৃশ্যমানতা আরও স্পষ্ট হয়।
শব্দের গুণগত মানের ক্ষেত্রেও একটু খুঁতখুঁতে হওয়া ভাল। বেশিরভাগ টিভিই বাহ্যিক দিক থেকে আকর্ষণীয় হলেও শব্দের ক্ষেত্রে খুব একটা ভাল হয় না। সেই বিষয়েও খেয়াল রাখবেন।
টিভি কেনার আগে ভেবে দেখবেন কেন কিনতে চাইছেন এটিকে। সিনেমা দেখার জন্য না কি শুধু গেমিং উপভোগ করার উদ্দেশ্যে? ব্যবহারের উপর নির্ভর করে ফিচারগুলি। এই যেমন গেমিংয়ের ক্ষেত্রে দেখতে হবে ‘রিফ্রেশ রেট’-এর বিষয়টি। আবার অন্য দিকে সিনেমাপ্রেমী হলে যাচাই করে নিন স্ক্রিনের মান।
অনেক টিভিতে আবার স্মার্ট টিভি ফিচার্স থাকে না। যেমন একই সঙ্গে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের পরিষেবা, অ্যাপস অথবা ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট যেমন ‘গুগ্ল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ বা ‘এলেক্সা’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।