দেব দীপাবলির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বারাণসী এবং কাশী। এই বছর ১০ লক্ষ প্রদীপের আলোয় সেজে উঠবে কাশীর ঘাট। থাকছে অন্যান্য নানা ধরনের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও। কার্তিক মাসের পূর্ণিমায় উদ্যাপিত হয় দেবতাদের দীপাবলি। মনে করা হয় এ দিন ত্রিপুরাসুরকে দেবাদিদেব মহাদেব বধ করার পর দেবতারা শিবের জায়গা কাশীতে নেমে এসেছিলেন। উদ্যাপন করেছিলেন দীপাবলি। সেই থেকেই কাশীতে এই উৎসব চলে আসছে।
আপনিও কি এই বছর দেব দীপাবলি উপলক্ষে বারাণসী, কাশী যাচ্ছেন? তা হলে এই ১০টি ঘাট কিন্তু ঘুরে দেখতে ভুলবেন না।
তালিকায় প্রথমেই থাকবে দশাশ্বমেধ ঘাট। এই ঘাটের গঙ্গারতি এমনই বিখ্যাত। তবে দেব দীপাবলি উপলক্ষে এখানে আরও বিশেষ ভাবে আরতি হয়ে থাকে।
বারাণসীর একদম শেষ মাথার ঘাট হল অসি ঘাট। এখানেও গঙ্গারতি হয়। তবে দশাশ্বমেধ ঘাটের তুলনায় এখানে কম ভিড় হয়।
বারাণসীর অন্যতম সুন্দর ঘাট হল চেত সিং ঘাট। দুর্গের মতো দেখতে এই ঘাট চিত্রগ্রাহকদের ভীষণই পছন্দের জায়গা।
১৯০০ এর গোড়ার দিকে বিহারের রাজ পরিবারের নির্মিত দ্বারভাঙা ঘাট ঘুরে দেখুন। যেতে পারেন কাছেই অবস্থিত মুন্সি ঘাট, যা তৈরি করেছিলেন দ্বারভাঙার অর্থমন্ত্রী শ্রীধর নারায়ণ মুন্সি।
তুলসীদাস, কবীরের স্মৃতিধন্য পাঁচগঙ্গা ঘাট তো অবশ্যই তালিকায় রাখতে হবে। দেব দীপাবলির সময় এই ঘাটের রূপ অবর্ণনীয় সুন্দর হয়ে ওঠে।
সোমেশ্বর ঘাটের কাছে অবস্থিত ১৬০০ সালে তৈরি হওয়া মন মন্দির ঘাট কিন্তু ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। দেব দীপাবলির সময় এখানে এলে এই মনমন্দির থেকে প্রদীপের আলোয় সাজানো বারাণসীর ঘাটকে দেখতে ভুলবেন না যেন।
মহাদেবের মন্দিরের জন্য খ্যাত সিন্ধিয়া ঘাটেও যেতে পারেন। দেব দীপাবলির দিন এই ঘাট প্রদীপের আলোয় দারুণ ভাবে সেজে ওঠে।
এ ছাড়া চেষ্টা করুন নৌকায় চেপে গঙ্গা থেকে ঘাটের সৌন্দর্য উপভোগ করার। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)