নিষেধাজ্ঞা যতই থাক, কালীপুজো যত এগিয়ে আসছে ততই অল্প বিস্তর বাজি ফাটার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। শব্দদানবের ভয়ে এখনই কাবু? নিজেও অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন, চারপেয়ে সন্তানকে নিয়েও চিন্তায় ভোগেন এই সময়? তা হলে কালীপুজোর কটা দিন শহরের আসপাশের কোথাও থেকে ঘুরে এলে কেমন হয়? ভাবছেন কোথায় যাবেন, চলুন তেমনই কিছু জায়গার সন্ধান দেওয়া যাক।
প্রকৃতির কোলে কিছু সময় কাটাতে, আবার ভিড়, শব্দদানবের থেকে দূরে থাকতে চাইলে ফলতা বা রায়চক যেতে পারেন। গঙ্গার ধারে একাধিক বিভিন্ন বাজেটের হোটেল রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলিই আবার পেট ফ্রেন্ডলি। বাজেট অনুযায়ী হোটেল বুক করে বেরিয়ে পড়ুন। নদীর হাওয়া খেয়ে কটা দিন মনোরম পরিবেশে কাটিয়ে আসুন।
গাড়ি নিয়ে হোক বা ট্রেনে, পাড়ি দিতে পারেন বোলপুর। বীরভূম এমনই কালীপুজোর জন্য বিখ্যাত। ওখানকার কালীপুজোর সাক্ষী থাকলেন নাহয় এ বার। ঘোরাও হবে, আবার ঠাকুর দেখাও হবে। সঙ্গে থাকবে সোনাঝুরির হাট, কোপাই, বল্লভপুরের জঙ্গল, আরও অনেক কিছু।
শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে আছে কোলাঘাট। সেখানকার কোনও হোটেলেও, থাকতে পারেন। রূপনারায়ণ নদীর শোভা, পুল সাইড পার্টি, আর মনোরম পরিবেশে দুটো দিন মন্দ কাটবে না।
এ ছাড়া দু’দিনের জন্য বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। শব্দদানবের হাত থেকে বাঁচতে রাঙামাটির দেশ, শাল পিয়ালের জঙ্গল, পোড়ামাটির মন্দির, 'এসকেপ প্ল্যান' কিন্তু মন্দ নয়, কী বলুন?
এই সময় পুরুলিয়া থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। হালকা শীতের আমেজ গায়ে মেখে পাখি পাহাড়, অযোধ্যা, মুরুগুমা দেখতে ভালই লাগবে। আবার ভিড়ও কম পাবেন।
আর যদি মনে করেন শহরেই থাকবেন, আবার কোলাহল, বাজির আওয়াজ থেকে দূরে। তবে ঘটকপুকুরের কাছাকাছি একাধিক রিসোর্ট রয়েছে, রয়েছে মনোরম পরিবেশও। সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
এ ছাড়া মন্দারমণি বা তাজপুর তো আছেই, যদি সমুদ্রের পাড়ে ক’দিন কাটাতে চান।
চলে যেতে পারেন হেনরিস আইল্যান্ডেও। ফাঁকায় ফাঁকায় ক’দিন ঘুরে আসতে পারবেন।
তা হলে আর কী, ব্যাগ প্যাক করে বেরিয়ে পড়ুন। কালীপুজোর ক’দিন প্রকৃতির কাছে কাটিয়ে আসুন শব্দ, কোলাহলের থেকে দূরে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)