গর্ত থেকে বের করে মারার পর ২৭টি গোখরো সাপ।— নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার রাতে শোওয়ার ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন রাজশাহীর বুধপাড়ার বাসিন্দা মাজদার আলি।
হঠাৎ তিনি দেখলেন খাটের নিচ থেকে একটা সাপ উঁকি দিচ্ছে। সবাই আঁতকে উঠেন। আর সাপটিও মুহূর্তের মধ্যে ড্রেসিং টেবিলের পেছনে গায়েব হয়ে গেল। বাড়ির কর্তা মাজদার আলি ড্রেসিং টেবিলের পেছনে টর্চ জ্বালিয়ে দেখেন সেখানে আরও তিনটি সাপ।
তিনি ভয় পেয়ে তাঁর বন্ধু ও স্বজনদের ডেকে আনেন। সবাই এসে দেখেন, ড্রেসিং টেবিলের পাশে একটি গর্ত। মানুষের সাড়া পেয়ে সাপ তিনটি এক সঙ্গে সেই গর্তে ঢুকে গেল। সবাই মিলে সাপ তিনটি মারার জন্য লাঠি, শাবল নিয়ে আসেন। গর্ত খুঁড়ে শাবল এবং লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে সাপগুলো বের করার চেষ্টা করেন। প্রথম দিকে দেখা যায়, গর্ত অনেক গভীর এবং ঘরের ভেতরে আরও কয়েকটি গর্ত আছে। ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে আরও গর্ত খোঁড়া শুরু করেন তাঁরা।
আরও খবর: যশোর থেকে উদ্ধার নিখোঁজ কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার
মাজদার আলি জানিয়েছেন, রাতে ঘরের ভেতরের সবগুলো গর্ত খুঁড়ে ফেলেন তাঁরা। প্রতিটি গর্তেই একটি বা দু’টি সাপ ছিল। রাত ১১টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত পরিবারের কয়েক জন মিলে একের পর এক গর্ত খুঁড়ে ফেললে একের পর এক সাপ বেরতে থাকে। এ ভাবে একে একে গর্ত থেকে বের করে ২৭টি গোখরো সাপ মারেন তাঁরা। তাঁদের শোওয়ার ঘরের পাশেই ধান রাখার গোলাঘর। সেই ঘরে বহু বছর ধরেই ইঁদুর গর্ত তৈরি করে রাখত। সেই গর্তে বাঁসা বেঁধেছিল গোখরো সাপগুলো। আর শোওয়ার ঘর পর্যন্ত বিস্তৃত ওই ইঁদুরের গর্ত বেয়ে সাপগুলো শোওয়ার ঘরে চলে এসেছিল।