—ফাইল চিত্র।
সিলেটে 'অপারেশন টোয়াইলাইট' শেষ হবার পর এ বার বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের দুটি এলাকায় দুই প্রবাসীর বাড়ি ঘিরে অভিযান শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে একটি বাড়ি থেকে পুলিশের দিকে গুলি ও বোমা ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালাচ্ছে। জঙ্গিদের ধরতে প্রয়োজনে সেনা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
র্যাবের শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের অধিনায়ক এএসপি মাইনুদ্দীন জানান, একটি বাড়ি মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায়। অন্যটি সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজারের কাছে ফতেহপুর গ্রামে। দুই ঘাঁটির মধ্যে দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।
দুটি বাড়িতেই জঙ্গি আস্তানা তৈরি হয়েছে বলে খবর পায় গোয়েন্দা পুলিশ। আজ, বুধবার, ভোরেই স্থানীয় পুলিশ ওই বাড়ি দুটি ঘিরে ফেলে বলে জানিয়ে মাইনুদ্দীন বলেন, “র্যাব সদস্যরা সেখানে গেছেন। ঢাকা থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের একটি দলও এসেছে।”
আরও খবর
নেহরুর ভারতের উল্টো দিকে হাঁটছে মোদীর ভারত
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ওই দলের সঙ্গে আছেন উপ কমিশনার মহিবুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, সীতাকুণ্ড ও সিলেটে জঙ্গি আস্তানার খোঁজ মেলার পর তদন্তে মৌলভীবাজারের এই দুই বাড়ির তথ্য পাওয়া যায়। “সরকার বাজারের ওই বাসায় যাওয়ার পর ভেতর থেকে গ্রেনেড ও গুলি ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে”- বলেন মহিবুল। পুলিশের এই বিশেষ ইউনিটের কর্তা বলেন, দুটো বাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছে।
তখনও সিলেটে অভিযান চলছে।—ফাইল চিত্র।
মৌলভীবাজার পৌরসভা ও এর আশেপাশের এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ঐ দুই বাড়িতে কমপক্ষে ১০ জঙ্গি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।অভিযানের অংশ হিসেবে বড়হাট ও আশপাশের এলাকার গ্যাস পরিষেবা এবং সরকার বাজার এলাকার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বাড়ি দুটির মালিক সাইফুর সাব্বির ও আতব্বর মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। তারা একই পরিবারের সদস্য এবং দুজনেই লন্ডন প্রবাসী। দুই বাড়ির দূরত্ব ১৮ কিলোমিটারের মত।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়িতে আতিয়া মহল নামের এক বাড়ি ঘিরে গত ২৩ মার্চ গভীর রাতে একই ভাবে অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনী অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর ১২ ঘণ্টা পার না হতেই পাশের জেলা মৌলভীবাজারে নতুন অভিযান শুরু হল। অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ১৬ কোটি মানুষের দেশে ৫০ জন জঙ্গি থাকতে পারে। পুরো বিশ্বেই এখন জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। তবে এদের দমন করার ক্ষমতা সরকারের আছে। যে কোনও মূল্যে জঙ্গিদের দমন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।”