ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের কুলখানি অনুষ্ঠানে সোমবার পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ১০ জনের। আহত ৫০ জনেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
চট্টগ্রামের প্রাক্তন মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর চতুর্থ দিনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে। এর মধ্যে আসকার দিঘিতে রিমা কমিউনিটি সেন্টারটি ছিল মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য। সেই কমিউনিটি সেন্টারেই এ দিন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই কমিউনিটি সেন্টারটি মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন সেখানে। সেন্টারে ঢোকার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেই সময়ই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
ম্যানহাটনে বিস্ফোরণে ধৃত ব্যক্তি বাংলাদেশি, দাবি পুলিশের
মুক্তিতেই বা কী হবে, বলছেন শিবিরের রোহিঙ্গারা
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার কোনও খামতি ছিল না। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যালে আহতদের দেখতে গিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কমিউনিটি সেন্টারটির গেট দিয়ে ঢোকার পথটি ১০ ফুট ঢালু হওয়ায় পিছনের ভিড়ের চাপে সামনের লোকজন পড়ে যায়। ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা ছিল সেখানে। কিন্তু মেজবানে (বড় নিমন্ত্রণের আয়োজন) আসা লোকজন ধৈর্য্যহারা হয়ে ঢোকার সময় অতিরিক্ত তাড়াহুড়োয় এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।”
নিহতদের পরিবারপিছু ১ লক্ষ টাকা সহায়তার ঘোষণা করেছে আওয়ামি লিগ। আহতদের চিকিৎসা এবং নিহতদের শেষকৃত্যের খরচ দেবে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবার। চট্টলার বীর বলে পরিচিত আওয়ামি লিগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী গত ১৪ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রয়াত হন।