Bangladesh News

নৌবাহিনীতে এল সাবমেরিন, ‍আধুনিকতা ও উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ

বিশ্বের ৪১তম দেশ হিসেবে সাবমেরিন ক্ষমতার মালিক হল বাংলাদেশ। চিনের ০৩৫-জি টাইপ দু’টি ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে নতুন যুগে পদার্পণ করল বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৭ ১৪:৪৮
Share:

বিশ্বের ৪১তম দেশ হিসেবে সাবমেরিন ক্ষমতার মালিক হল বাংলাদেশ। চিনের ০৩৫-জি টাইপ দু’টি ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে নতুন যুগে পদার্পণ করল বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার চট্টগ্রামে নৌ-ঘাঁটি ইশা খাঁয় ‘বানৌজা নবযাত্রা’ ও ‘বানৌজা জয়যাত্রা’ নামের সাবমেরিন দু’টির কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন। এর মধ্য দিয়ে ত্রিমাত্রিক নৌশক্তিতে পরিণত হল বাংলাদেশের নৌবাহিনী।

Advertisement

নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী, সাবমেরিন দু’টির নামফলকও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। দু’টি সাবমেরিন যোগ হওয়ায় ‍আধুনিকতা ও উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন

Advertisement

বছর ১৬ আগের নির্বাচনে হারিয়েছিল ‘র’: হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটি শুধু বাংলাদেশ নৌবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ দিন। স্বাধীনতার এই মাসে আমাদের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন সাবমেরিন বাংলাদেশের নৌবাহিনীতে যুক্ত হল। একটি আধুনিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার পথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। পৃথিবীর মাত্র গুটি কয়েক দেশ সাবমেরিন পরিচালনা করে থাকে। সেই তালিকায় যুক্ত হল বাংলাদেশের নাম। জাতি হিসেব আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার বিষয়।

নবযাত্রা অধিনায়ক কমান্ড্যার কে এম মামুনুর রশিদ ও জয়যাত্রা অধিনায়ক লে. কমান্ডার মাজহারুল ইসলামের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেওয়ার পর ত্রিমাত্রিক সক্ষমতা অর্জনের পরিচিতিমূলক মহড়া দেয় বানৌজা বঙ্গবন্ধু, নেভি এভিয়েশনের দু’টি হেলিকপ্টার, দু’টি এমপিএ এবং কমান্ডো দল। তার পর প্রধানমন্ত্রী ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’ কার্যত বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। এর সঙ্গে সঙ্গেই সাবমেরিন পরিচালনাকারী দেশের তালিকায় যোগ হল বাংলাদেশের নাম। এর ফলে বিশাল জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়ল। পাশাপাশি, তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের ব্লকগুলোতে নিরাপত্তা-সহ সার্বিক ভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাবমেরিন দু’টির সহায়ক ভূমিকা পালনের সুযোগও তৈরি হল।

চিনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওনান শিপইয়ার্ডে গত বছরের ১৪ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদের কাছে সাবমেরিন দু’টি হস্তান্তর করেন চিনের রিয়ার অ্যাডমিরাল লিউ জি ঝু। বাংলাদেশ ও চিনের নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের যৌথ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ ও ‘সি ট্রায়াল’ শেষে গত ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দু’টি চট্টগ্রামে আসে। বানৌজা ‘নবযাত্রা’ এবং বানৌজা ‘বানৌজা নবযাত্রা’ ও ‘বানৌজা জয়যাত্রা’ দৈর্ঘ্যে ৭৬ মিটার এবং প্রস্থে ৭.৬ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সজ্জিত সাবমেরিন দু’টির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায়য ১৭ নটিক্যাল মাইল এবং ডিসপ্লেসমেন্ট এক হাজার ৬০৯ টন।

টর্পেডো ও মাইনে সজ্জিত নৌবাহিনীর এ দু’টি যুদ্ধযান শত্রুপক্ষের জাহাজ ও সাবমেরিনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ-সহ যুদ্ধকালীন দায়িত্ব পালনে সক্ষম বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন