একাত্তরের নির্যাতিতা।
৪৫ বছর পর। শরীরে নির্যাতন বয়ে বেড়ানোর এতগুলো বছর পর স্বীকৃতি পেলেন একাত্তরের ১৬ বীরাঙ্গনা। সরকারিভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন থেকে একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত ওই ১৬ নারীকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান ও স্বীকৃতি দেবে।
আজ বৃহস্পতিবার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট জারি করেছে সরকার। ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দেশীয় সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত নারীদের মুক্তিযোদ্ধার সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামি লিগ সরকার।
এরপর পর্যায়ক্রমে ১৩০ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সম্মান দেয় সরকার। নতুন করে ১৬ জনকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ায় বীরাঙ্গনার মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৬ জন।
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনাদের মধ্যে রয়েছেন- ঠাকুরগাঁওয়ের প্রয়াত শ্রীমতি তিত্ত বালা, সাতক্ষীরার দেবহাটার প্রয়াত সতী সাবিত্রী চক্রবর্তী ও নিছতারা বিবি, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মোছাঃ শুকুরন নেছা, শেরপুরের নালিতাবাড়ির মোছাঃ হাফিজা বেওয়া ও সমলা বেওয়া।
এছাড়া গাইবান্ধার সাদুল্লাহপুরের মোছাঃ ছাপাতন বেওয়া, গোপালগঞ্জ সদরের রাশিদা বেগম, সিলেটের শিবগঞ্জের রোকেয়া বেগম, বরিশালের আগৈলঝাড়ার কানন গোমেজ, মৌলবীবাজারের কুলাউড়ার মিনারা বেগম, হবিগঞ্জের মাধবপুরের সন্ধ্যা ঘোষ, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মোসাঃ আফিয়া বেগম, নাটোর সদরের মোছাঃ শেফালী বেগম ও শ্রীমতি বিমলা রাণী সরকার, লালমণিরহাটের হাতিবান্ধার আমিচা বেগমকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
এ বীরাঙ্গনারা প্রতি মাসে ভাতা-সহ মুক্তিযোদ্ধাদের মতো অন্য সব সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
আরও খবর
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ফিরে পেলেন একাত্তরের গেরিলা বাহিনীর ২৩৬৭ জন