বলীয়ান মোদীতে ভরসা রাখছে ঢাকা

উত্তরপ্রদেশ ভোটের ফলাফলের পর বলীয়ান নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বাংলাদেশের প্রত্যাশা যে বেড়েছে, তা শেখ হাসিনার ভারত সফরের ঠিক আগে স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর দূত মহম্মদ নাসিম।

Advertisement

অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

উত্তরপ্রদেশ ভোটের ফলাফলের পর বলীয়ান নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বাংলাদেশের প্রত্যাশা যে বেড়েছে, তা শেখ হাসিনার ভারত সফরের ঠিক আগে স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর দূত মহম্মদ নাসিম। একটি সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের জন্য নয়াদিল্লি এসেছিলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ জোটের আহ্বায়ক নাসিম। আজ ভারত ছাড়ার আগে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে সরব হলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সফরে তিস্তা নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে, এমনটাই আশা করছেন বাংলাদেশের মানুষ। দু’টি দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক এই মুহূর্তে তৈরি হয়েছে, তা এ সর্বকালের সেরা।’’

Advertisement

হাসিনার আসন্ন ভারত সফর নিয়ে সে দেশে যে বিরোধী রাজনৈতিক চাপ তৈরি হয়েছে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন নাসিম। তাঁর দিল্লি সফরে ঠিক কী কী চুক্তি হতে চলেছে, এবং তাতে আখেরে ঢাকার কী লাভ হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি নেতৃত্ব। নাসিমের কথায়, ‘‘কিছু রাজনৈতিক শক্তি ভারত-বিদ্বেষী বিবৃতি দিচ্ছে এবং সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু এই জমানায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের যে উন্নতি ঘটেছে তাতে এই বিদ্বেষ দাগ কাটতে পারবে না।’’

আসন্ন শীর্ষ বৈঠকে তিস্তা নিয়ে ঢাকার চাপের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভারতীয় কূটনীতিকরা। তবে এ কথাও জানানো হচ্ছে যে এখনই ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তের আশা কম। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি করার আশ্বাস তাঁরা দেবেন ঢাকাকে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা চুক্তিটি যাতে মাইলফলক হয়ে ওঠে, সে জন্য দু’দেশই পরিশ্রম করছে। নাসিম জানিয়েছেন— এই চুক্তির অধীনে, বাংলাদেশে সে দেশের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেবেন ভারতীয় অফিসাররা।

Advertisement

গত কালই মন্ত্রিসভায় ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দুটি চুক্তিপত্র অনুমোদিত হয়েছে। প্রথমটি হল, দু’দেশের নৌ পরিবহণের ক্ষেত্রে কিছু বাড়তি সহযোগিতা। দ্বিতীয়টি সীমান্ত হাটের পুরনো চুক্তিটির সংস্কার করে হাটের সংখ্যা বাড়ানো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement