ফরমালিন জটিলতা কাটিয়ে আড়াই মাস পর ভারতে মাছ পাঠাল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের মাছে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়ার অভিযোগে ভারতে রফতানি বন্ধ ছিল আড়াই মাস ধরে। সব জটিলতা কাটিয়ে প্রায় আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ পাঠানো শুরু হল। 'রপ্তানীকৃত মাছ ভারতে পরীক্ষা করে ফরমালিন পাওয়া গেলে ফের আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে'- ভারতীয় ব্যবসায়ীদের এমন শর্তেই সোমবার তিন হাজার ২০০ কেজি মাছ ভারতের ত্রিপুরায় যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৭ ১৯:৫৮
Share:

বাংলাদেশের মাছে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়ার অভিযোগে ভারতে রফতানি বন্ধ ছিল আড়াই মাস ধরে। সব জটিলতা কাটিয়ে প্রায় আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ পাঠানো শুরু হল। 'রপ্তানীকৃত মাছ ভারতে পরীক্ষা করে ফরমালিন পাওয়া গেলে ফের আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে'- ভারতীয় ব্যবসায়ীদের এমন শর্তেই সোমবার তিন হাজার ২০০ কেজি মাছ ভারতের ত্রিপুরায় যায়।

Advertisement

আখাউড়া স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা নিছার উদ্দিন ভুঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জটিলতা কাটিয়ে সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৩ হাজার দুশো কেজি মাছ ত্রিপুরায় ঢুকেছে।

বাংলাদেশের মাছে ফরমালিন মেশানো আছে, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগে গত ৬ মার্চ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ আমদানি বন্ধ করে দেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সেই সিদ্ধান্তের ফলে প্রতি দিন প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছ রফতানি করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

বাংলাদেশের মাছে ফরমালিন পাওয়ার অভিযোগ উঠলেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দাবি, এসব মাছ স্থানীয় বাজার থেকে সংগৃহীত ও পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট পাওয়া। ফলে এসব মাছে ফরমালিন মেশানোর কোনও সুযোগ নেই। বিষয়টির সমাধানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদল একাধিকবার ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন।

আরও পড়ুন: দু’ঘণ্টা ধরে ব্যাপক তল্লাশি খালেদার গুলশনের কার্যালয়ে

এদিকে রফতানি শুরুর পর বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখান থেকে রফতানি করা মাছের নমুনা সংগ্রহ করে ফের ভারতে পরীক্ষা হবে। ত্রিপুরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় নমুনা মাছ কলকাতায় পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে মাছ আমদানি অব্যাহত থাকবে কি না। তবে পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই আসা মাছ বাজারজাত করা হবে।

বাংলাদেশের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মাছ রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্দরের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অনেকটা কমে আসে। ভারত তাদের ওখানে মাছ পরীক্ষা করবে এমন শর্তে আমদানি করতে সম্মত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন