ফাইল চিত্র।
পৌষের শেষে শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে বাংলাদেশে। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রংপুর বিভাগের মানুষ। শুক্রবার কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা নেমেছে পাঁচ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সাত দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশিরভাগ জেলার তাপমাত্রা রয়েছে ১০ ডিগ্রির নীচে। শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
টানা দুদিন ধরে শৈত্য প্রবাহ চলছে রংপুরের নীলফামারিতে। এর সাথে ঘন কুয়াশা দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়েছে বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষদের। বেলা ১১টা পর্যন্ত সূর্য দেখা না পাওয়ায় কাজে যেতে পারছে না দিনমজুরেরা। হিমালয়ের কাছের জেলা পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সাত দশমিক চার।
দুদিনের তীব্র শীতে শাসকষ্ট-সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। শুধু কুড়িগ্রামেই অসুস্থ দুশোর বেশি। এর মধ্যে ডায়েরিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫ জন শিশু।
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে সিলেট বিভাগেও। এই বিভাগের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল মৌলভিবাজারের শ্রীমঙ্গলে। সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়া বইতে থাকায় মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মহসীন জানিয়েছেন, শীতের তীব্রতায় হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে অনেকে ভর্তি রয়েছেন। তার মধ্যে ১২জন শিশু।
আরও পড়ুন: ভাইব্র্যান্ট গুজরাতে ৫ কোটির মউ সই করল ক্লাস টেনের ছাত্র, বানাবে ড্রোন