Bangladesh News

মৃত্যুর কারণ জানতে কবর থেকে তোলা হল নায়িকার দেহাবশেষ

মারা যাওয়ার তিন বছর পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হল বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের প্রয়াত নায়িকা পারভীন আক্তার লাকী ওরফে অন্তরার দেহাবশেষ। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে রাজধানী ঢাকার আজিমপুর কবরস্থান থেকে মঙ্গলবার দেহাবশেষ উত্তোলন করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১২:৫৭
Share:

বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের প্রয়াত নায়িকা পারভীন আক্তার লাকী ওরফে অন্তরা। —ফাইল চিত্র।

মারা যাওয়ার তিন বছর পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হল বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের প্রয়াত নায়িকা পারভীন আক্তার লাকী ওরফে অন্তরার দেহাবশেষ। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে রাজধানী ঢাকার আজিমপুর কবরস্থান থেকে মঙ্গলবার দেহাবশেষ উত্তোলন করে পুলিশ।

Advertisement

অন্তরা হত্যা মামলার তদন্তকারী ও ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মহঃ আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অন্তরার স্বামী শফিকুল ইসলাম খোকন মিয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ২০১৫ সালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অন্তরাকে খুনের অভিযোগ এনে পিটিশন মামলা করেন অন্তরার মা আমেনা খাতুন। গত ১২ জানুয়ারি সিএমএম অন্তরার লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশে মতোই মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও আমেনা বেগমের উপস্থিতিতে অন্তরার কবর থেকে ৬৭টি হাড় ও মাথার খুলি উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্টের জন্য সেগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

মহঃ আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে অন্তরার মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে কি না, সে ব্যাপারে আমার জানা নেই। এদিকে মৃত্যুর তিন বছর পর দেহাবশেষ উত্তোলন করে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসকেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন

রোহিঙ্গাদের ঠেঙার চরে সরানোর প্রস্তাব ঢাকার

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৬ মে অন্তরা ও শফিকুলের বিয়ে হয়। রাজধানী ঢাকার বড় মগবাজার এলাকায় ছিল তাঁদের বসবাস। এর পর ২০১৪ সালের ২ জানুয়ারি অন্তরা অসুস্থ হলে তাঁকে কাকরাইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ জানুয়ারি ২০১৪ মারা যান অন্তরা। তাদের একটি ছেলে আছে। অন্তরার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলা সদরের চরপুয়া গ্রামে এবং শফিকুলের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুরে। অন্তরা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাগল মন’, ‘প্রেমের কসম’, ‘লেডি র‌্যাম্বো’, ‘শয়তান মানুষ’, ‘নাগ-নাগিনীর প্রেম’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন