হাসিনার দলের চিন্তা বাড়াচ্ছেন এরশাদ

বিএনপি ও তাদের দুই জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ ও ‘২০ দল’ যখন ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত জানায়, সেই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ‘১৪ দল’-এর সঙ্গে আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেয় হুসেইন মহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি। তার আগে পর্যন্ত তারা বিরোধী হিসেবে ৩০০ আসনের সবক’টিতে লড়ার তোড়জোড় করছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:২৬
Share:

হুসেইন মহম্মদ এরশাদ।

ভোটের ময়দানে বিপক্ষের চেয়ে আগাগোড়া এগিয়ে থাকলেও হঠাৎই কপালে ভাঁজ আওয়ামি লিগের নেতাদের। বিপক্ষ নয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের নতুন মাথাব্যথার কারণ তাদেরই জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি।

Advertisement

বিএনপি ও তাদের দুই জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ ও ‘২০ দল’ যখন ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত জানায়, সেই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ‘১৪ দল’-এর সঙ্গে আসন সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেয় হুসেইন মহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি। তার আগে পর্যন্ত তারা বিরোধী হিসেবে ৩০০ আসনের সবক’টিতে লড়ার তোড়জোড় করছিল। কিন্তু ১৪ দলের শরিকেরা আসন ভাগাভাগি করে ফেললেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে তাদের ঐকমত্য কিছুতেই হচ্ছিল না। জোটগত ভাবে প্রার্থীদের তালিকাও তাই প্রকাশ করা যায়নি।

রবিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ছবিটা স্পষ্ট হয়। দীর্ঘ আলোচনার পরে ঠিক হয় ২৬টি আসনে আওয়ামি লিগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অংশ হিসেবে লড়বে জাতীয় পার্টি। কিন্তু তার পরেও প্রায় ১৫০টি আসনে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা দিয়ে বসে আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙা জানিয়েছেন, এই প্রার্থীরা মহাজোটের ‘নৌকা’-র বিরুদ্ধেই তাঁদের প্রতীক ‘লাঙল’ নিয়ে লড়বেন। আর তাতেই বিপদ দেখছেন আওয়ামি লিগের নেতারা। কারণ, এমন বহু আসন রয়েছে, যেখানে ‘লাঙল’ ও ‘নৌকা’-য় ভোট ভাগাভাগি হলে জিতে যেতে পারে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা। আওয়মি লিগের এক নেতার কথায়— ‘‘এ কেমন জোট-শরিক, ২৬টা আসনে যাদের প্রার্থীদের আমরা ভোট দিয়ে জেতাব, দেড়শো আসনে তারা আমাদের হারানোর জন্য আলাদা লড়বে?’’

Advertisement

বাংলাদেশে ২০১৪-এ বিগত নির্বাচনের আগেও হাসিনার দলকে বিপাকে ফেলেছিলেন জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব। বিএনপির পথেই ভোট বয়কটের ঘোষণা করে বসেছিলেন এরশাদ। রহস্যজনক ভাবে তাঁকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভোটে লড়েন তাঁর পত্নী বেগম রওশন এরশাদ। এর পরে জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হলেও সরকারে দুই মন্ত্রী ছিল তাদের। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়ে ঠান্ডা করা হয় এরশাদকে।

এ দিকে নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন খারিজ করে দিলেও আদালতের নির্দেশে প্রার্থী-পদ ফিরে পাচ্ছেন অনেকে। বগুড়ার একটি আসনে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেও ‘টেকনিক্যাল কারণে’ তা খারিজ হয়ে যায় ভিডিয়ো চলচ্চিত্রের অভিনেতা হিরো আলমের। সোমবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আলমকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকারও রবিবার প্রার্থীপদ ফিরে পেয়েছেন হাইকোর্টের রায়ে। জন্মস্থান কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নির্দল হিসেবে লড়ছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন