আসবে কি ভোটে, দু’দিনে জানাবে বিএনপি

শনিবার গোটা দিন দফায় দফায় বৈঠকের পরেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না খালেদা জিয়ার দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৪১
Share:

খালেদা জিয়া। —ফাইল চিত্র।

শনিবার গোটা দিন দফায় দফায় বৈঠকের পরেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারল না খালেদা জিয়ার দল।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকে বিএনপি-র নীতি নির্ধারকরা দীর্ঘ বৈঠক করেন। তার পরে সন্ধ্যায় জোটসঙ্গী দলগুলির নেতাদের সঙ্গে বসেন তাঁরা। জোটের মুখপাত্র এলডিপি নেতা কর্নেল অলি আহমেদ রাতে জানান, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। দু’দিনের মধ্যে এ বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা করা হবে।

কাল নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে শুক্রবার বিএনপি-র নির্বাচনী জোট রাজশাহিতে জনসভা করে। মনে করা হয়েছিল, সেখানেই নির্বাচনে যাওয়ার স্পষ্ট ঘোষণা করবেন বিএনপি ও তাদের নির্বাচনী জোট ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’-এর নেতারা। কিন্তু বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির সেখানে জানান, নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে তাঁরা নির্বাচনে যাবেন না। অন্য নেতারাও সেই সুরেই বক্তৃতা দেন।

Advertisement

গত ২০১৪-র নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এ বারে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে নেতৃত্ব আড়াআড়ি বিভক্ত। কিন্তু দলের সাধারণ কর্মী-সমর্থকেরা মনে করেন, এ বারেও নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি-র অস্তিত্ব লোপ হয়ে যাবে। সূত্রের খবর, দলের ‘বিদেশি বন্ধুরাও’ যে কোনও মূল্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বকে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তৎপর হয় দলটি। দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার অবর্তমানে দলের অস্থায়ী চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনও সিদ্ধান্ত নিতে না-পেরে সেই ভার শরিকদের উপরে চাপিয়ে দেন। সন্ধ্যার বৈঠকে শরিক নেতারা জানিয়ে দেন— বিএনপি নির্বাচনে গেলে তারাও যাবে, না-গেলে তারা যাবে না। এই পরিস্থিতিতে ঠিক হয়, দু’দিনে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।

এর মধ্যেই দিল্লিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হোক, সেটাই কাম্য। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নাক গলায় না ভারত। কিন্তু নয়াদিল্লি মনে করে, বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিবেশী দেশে বহাল থাকলে গোটা অঞ্চলে সুস্থিতির জন্য তা ইতিবাচক। শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক যে সাম্প্রতিক কালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উজ্জ্বলতম অধ্যায়— এ কথা বিভিন্ন মঞ্চে বার বার বলেছে দিল্লি। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব রকম ভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে রেখেছে ভারত। কিন্তু সূত্রের মতে, ভারত এমন কোনও অবস্থান নিতে চায় না— যাতে বিএনপি পরে অভিযোগ তুলতে পারে যে দিল্লি পক্ষপাতিত্ব করে তাদের ভোটের ময়দান থেকে ছিটকে দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন