Bangladesh

আমাকে ছেড়ে দাও, আল্লার নামে আছি, বাবাকে লিখেছিল নিখোঁজ তামিম

‘আমার লগ (সঙ্গ) ছাড়ি দেও, আমি আল্লাহর নামে আছি’- সন্দেহভাজন জঙ্গি তামিম আহমদ চৌধুরী পাঁচ বছর আগে তাঁর কানাডা প্রবাসী বাবাকে এমনটাই জানিয়েছিলেন। এর পর থেকে তামিমের সঙ্গে বাবা-মায়ের কোনও যোগাযোগ নেই। সিলেটের বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বাংলা এই তথ্য জানিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৬ ১৩:৫৭
Share:

তামিম আহমদ চৌধুরী

‘আমার লগ (সঙ্গ) ছাড়ি দেও, আমি আল্লাহর নামে আছি’- সন্দেহভাজন জঙ্গি তামিম আহমদ চৌধুরী পাঁচ বছর আগে তাঁর কানাডা প্রবাসী বাবাকে এমনটাই জানিয়েছিলেন। এর পর থেকে তামিমের সঙ্গে বাবা-মায়ের কোনও যোগাযোগ নেই। সিলেটের বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বাংলা এই তথ্য জানিয়েছেন।

Advertisement

চেয়ারম্যান আরও জানান, তামিমের খুড়তুতো ভাইদের মধ্যে দু-এক জন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে এদের সঙ্গে তামিমের যোগাযোগ আছে কিনা সেটা তার জানা নেই বলে জানান চেয়ারম্যান।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সম্প্রতি নিখোঁজ যে ২৬১ জন জঙ্গির তালিকা প্রকাশ করেছে- তাতে বিয়ানীবাজার উপজেলার বড়গ্রামের তামিম আহমদ চৌধুরীর নামও রয়েছে। গ্রামটি বাংলাদেশ সীমান্তের শেষ প্রান্তে অবস্থিত।

Advertisement

তামিম কবে থেকে নিখোঁজ এ সংক্রান্ত স্পষ্ট কোনও তথ্য জানা যায়নি। বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবের আহমদ জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স থেকে তথ্য পেয়ে তামিমের বিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়েছেন পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার তামিমের বাড়িও পরিদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু তামিমের ব্যাপারে নিকটাত্মীয়, এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি কেউ কোনও তথ্য দিতে পারছেন না।

বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ-সহ স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, তামিমের পিতা শফিকুর রহমান চৌধুরী ওরফে সোয়া মিয়া চট্টগ্রাম শিপইয়ার্ডে চাকরি করতেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তিনি কানাডায় পাড়ি জমান। এর পর তিনি সেখানে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে সোনা মিয়ার যোগাযোগ অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বলে আত্মীয়স্বজনরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন...
বেপাত্তা ২৬০, ছেলেধরার খোঁজে বাংলাদেশ পুলিশ

পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃত করে ওসি জানান, কানাডায় যাওয়ার পর থেকে তামিমের বাবার সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যদের যোগাযোগ কমে যায়। এ কারণে কেউই তাদের কানাডার ঠিকানাও দিতে পারছেন না। এ প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তামিম ও তার পরিবার সম্পর্কে পরিবারের সদস্যদের দেওয়া বক্তব্যেও গরমিল রয়েছে। বিষয়টির প্রতি নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান ওসি।

তামিমের খুড়তুতো ভাই স্থানীয় ছাত্রলিগ নেতা ফাহিম আহমদ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘তামিম ভাই আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। সম্ভবত ১৯৯৫ সালে তিনি একবার গ্রামের বাড়িতে এলে দেখা হয়। তবে আমি ছিলাম অনেক ছোট। তখন তামিম ভাইয়ের বয়স ছিল আনুমানিক ১৪-১৫ বছর। এরপর থেকে আর তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।’

তামিমের আরেক খুড়তুতো ভাই তাজিন আহমদ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২০০১ সালে তাঁরা সপরিবারে বাংলাদেশে এলেও গ্রামের বাড়িতে এক বারের জন্যও আসেননি। সিলেট নগরীতে বাড়ি ভাড়া করে প্রায় তিন মাস থাকার পর তারা আবার ফিরে যান কানাডায়।

পারিবারিক সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত জীবনে তামিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের বাবা। তারা তিন ভাই ও এক বোন।

(সৌজন্য বাংলা ট্রিবিউন)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন