মাসুদের ঘাড়েই দায় চাপাচ্ছে নাসিরুল্লা

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের দিন হাতকাটা নাসিরুল্লা ছিল বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে। ওখানে বসেই বিস্ফোরণের খবর পায় সে। ২০০২ সাল থেকে এ রাজ্য তার নিয়মিত যাতায়াত শুরু হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩৪
Share:

নাসিরুল্লা ওরফে সোহেল মাহফুজ। —ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে সে ছিল ঠিকই, তবে তেমন কিছু করেনি। এই রাজ্যে ‘জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ’ (জেএমবি)-এর সংগঠন গড়ার মূল কারিগর ছিল মাসুদ রানা ওরফে সাজিদ। জেরার মুখে হাতকাটা নাসিরুল্লা ওরফে সোহেল মাহফুজ এমনটাই বলেছে বলে জানাচ্ছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। ঢাকায় সোমবার রাত থেকে তাকে জেরা করেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র অফিসারেরা। তার আগে লালবাজার থেকে যাওয়া এক দল অফিসারও দফায় দফায় জেরা করেছেন নাসিরুল্লাকে।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জেরায় নাসিরুল্লা স্বীকার করেছে, পশ্চিমবঙ্গে তার আস্তানার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল নদিয়ার কালীগঞ্জ এলাকার মির্জাপুরের বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিন মুন্সি ওরফে গিয়াস মাস্টার। এনআইএ এই গিয়াসউদ্দিনকে ২০১৫-র জানুয়ারিতে গ্রেফতার করে। আর ২০১৪-র নভেম্বরে বিধাননগর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সাজিদ ওরফে মাসুদ রানা। যার উপরে নাসিরুল্লা সব দায় চাপাতে চাইছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।

২০১৪ সালের ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের দিন হাতকাটা নাসিরুল্লা ছিল বীরভূম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ে। ওখানে বসেই বিস্ফোরণের খবর পায় সে। ২০০২ সাল থেকে এ রাজ্য তার নিয়মিত যাতায়াত শুরু হয়েছিল।

Advertisement

তদন্তকারীরা জেনেছেন, নাসিরুল্লা পাবনা হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিল। একদা সে ছিল জঙ্গি চাঁই সিদ্দিকুর রহমান ওরফে ‘বাংলা ভাই’-এর ডানহাত। পশ্চিমবঙ্গে জেএমবি-র সংগঠন গড়ার পিছনে সেই বাংলা ভাইয়ের অবদান আছে বলে জেরার জবাবে জানিয়েছে নাসিরুল্লা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement