বোর্ডের অনুমতি মেলেনি, খুলনার ট্রেন অনিশ্চিত

পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ৩ অগস্ট থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন ওই ট্রেনটির চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। নাম রাখা হয়েছিল, ‘সোনার তরী’ এক্সপ্রেস। কিন্তু ভারতের রেল বোর্ড এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমতি দেয়নি। রেল সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণেই মেলেনি সবুজসঙ্কেত।

Advertisement

অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ০২:৩৫
Share:

আর সব প্রস্তুতি শেষ। কিন্তু মেলেনি রেল বোর্ডের প্রয়োজনীয় অনুমতি। আর সেই কারণেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কলকাতা-খুলনা যাত্রীবাহীট্রেন চালানো।

Advertisement

পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ৩ অগস্ট থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন ওই ট্রেনটির চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। নাম রাখা হয়েছিল, ‘সোনার তরী’ এক্সপ্রেস। কিন্তু ভারতের রেল বোর্ড এ বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমতি দেয়নি। রেল সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণেই মেলেনি সবুজসঙ্কেত।

রেল কর্তাদের একাংশ জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলক দৌড়ে অতিরিক্ত ভিড় হয়ে যায়। তা নিয়ন্ত্রণ করার মতো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রেল বোর্ডের সদস্যরা। নিরাপত্তার খামতি পূরণ না করে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেবে না বোর্ড। তা ছাড়া, পরিকাঠামোর সামান্য কিছু ত্রুটি এখনও রয়ে গিয়েছে। যাত্রা শুরুর আগে সেটাও ঠিক করে নিতে চায় ভারতীয় রেল।

Advertisement

শুধু যাত্রীবাহী ট্রেনই নয়। কলকাতা থেকে খুলনা পর্যন্ত নিয়মিত কন্টেনার সার্ভিস (মালগাড়ি) চালানোর যে পরিকল্পনা হয়েছে, তারও অনুমতি আসেনি। সম্প্রতি পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে দু’দেশের মধ্যে নতুন ট্রেনটি চালানোর বিষয় নিয়ে ফাইল পাঠানো হয়েছিল রেল বোর্ডে। দিন কয়েক আগে সেই ফাইল ফেরত এসেছে। কিন্তু তাতে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কোনও কিছুই লেখা না-থাকায় হতাশ রেল কর্তারা। ফলে অগস্টে নতুন ট্রেন চালানো আপাতত স্থগিত হয়ে গেল বলেই মনে করছেন পূর্ব রেলের কর্তারা।

ভারতের পেট্রাপোল এবং বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এক সময় যাত্রী ট্রেন চলাচল করত। কলকাতা থেকে এই লাইন দিয়েই ছুটত উত্তরবঙ্গ ও অসমমুখী ট্রেনগুলিও। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ওই লাইনে একটি সেনাদের ট্রেন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়ায় তার পরে আর ট্রেন চলেনি। পরে দু’দেশের মধ্যে ওই লাইনটিও ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কিন্তু মানুষের দীর্ঘদিনের চাহিদার কথা মনে রেখে ২০০১ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে দু’দেশের রেল মন্ত্রক আলোচনার পরে পেট্রাপোল ও বেনাপোলের লাইনটি ফের সংযুক্ত করে।

তখন থেকেই ওই লাইনে ট্রেন চালানোর বিষয়ে আলোচনা চলেছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আর একপ্রস্ত কথা হয়। ঠিক হয়, এ বছরেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ইতিমধ্যে ওই রুটে ট্রেনের একদফা পরীক্ষা মূলক দৌড়ও করায় বাংলাদেশ রেল। ঠিক ছিল, তার পরে এ বছর অগস্ট থেকে ওই রুটে নিয়মিত যাতায়াত করবে নতুন ওই ট্রেনটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন