ক্যাপ্টেন আবিদ ও তাঁর পরিবার।
বারো দিনের মধ্যে বাবা ও মাকে হারাল বছর চোদ্দোর কিশোর তানজিম বিন সুলতান, ডাক নাম মাহি। শুক্রবার ঢাকার উত্তরায় নিজের বাড়িতে ভিড় থেকে সরে এক কোণে চুপচাপ বসেছিল সে।
কাঠমান্ডুতে ভেঙে পড়া বিমানটির পাইলট আবিদ সুলতান (৪৪) বেঁচে আছেন বলে ১২ তারিখে ঘোষণা করেছিল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। ২৪ ঘণ্টা পরে জানানো হয়, মারাই গিয়েছেন আবিদ। সে খবর শুনে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী আফসানা খানম (৩৬)। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান স্ট্রোক হয়েছে। ১১ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে শুক্রবার সকালে মারা গেলেন আফসানাও।
রবিবার মাকে হাসপাতালে রেখে বাবার মরদেহ নিতে আর্মি স্টেডিয়ামে গিয়েছিল আবিদ-আফসানার একমাত্র ছেলে মাহি। তার হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছিল বিমান বাহিনীতে ২০ বছর চাকরির পরে ২০১৫-য় বেসরকারি এয়ারলাইন্স ‘ইউএস বাংলা’-য় যোগ দেওয়া অভিজ্ঞ পাইলট আবিদের কফিন। সোমবার ঢাকায় বনানীর কবরস্থানে বাবাকে দাফন করে ফের হাসপাতালে এসে রাত জাগছিল দশম শ্রেণির ছাত্র মাহি। বৃহস্পতিবার ফের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পরে অবস্থা আরও খারাপ হয় লাইফ সাপোর্টে থাকা তার মায়ের। শুক্রবার সকালে চিকিৎসকেরা জানান— সব শেষ!
উত্তরার বাড়িতে দেহ আসার পরে উপচে পড়া ভিড়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনেরা। মাহির মুখে শুধু কথা নেই। ঠিক হয়েছে স্বামীর পাশেই দাফন করা হবে আফসানাকে।