শ্রদ্ধা: ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পোপ ফ্রান্সিস। বৃহস্পতিবার। ছবি: এএফপি।
মায়ানমারের পরে বাংলাদেশে। পোপ ফ্রান্সিস যাঁদের আগে ‘রোহিঙ্গা ভাইবোন’ বলে উল্লেখ করতেন, এ বার তাঁদের নামও নিলেন না একবার। বাংলাদেশে এসেও।
ছ’দিনের এশিয়া সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছন পোপ ফ্রান্সিস। তিন দিন থাকবেন এখানে। এ দিন দুপুরে বিশেষ বিমানে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন ৮০ বছরের পোপ। লাল গালিচা বিছিয়ে স্বাগত জানানো হয় তাঁকে। বিমানবন্দরে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। গার্ড অব অনার দেওয়া হয় পোপকে।
মায়ানমার সফরে গিয়ে বিভিন্ন বক্তৃতায় ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি একবারও উচ্চারণ করেননি পোপ। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। আজ ঢাকাতেও শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে কথা বলেন পোপ। বলেন, ‘‘রাখাইন প্রদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ। এ জন্য তাদের যথেষ্ট ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।’’ এত কথা বললেও রোহিঙ্গা শব্দটি কিন্তু আজও পোপের মুখ থেকে শোনা যায়নি। কাল ঢাকাতেই কয়েক জন শরণার্থীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
আগামিকাল পোপের জন্য একটি বিশেষ ‘মাস’-এরও আয়োজন করা হয়েছে। ক’দিন আগেই নাটোরের গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ধর্মযাজক ফাদার ওয়াল্টার উইলিয়াম রোজারিও। কালকের ‘মাস’-এ তাঁর জন্য প্রার্থনা করবেন পোপ।
আজ পোপের সম্মানে বঙ্গভবনে বিশেষ ভোজ দেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। তবে পোপ কখনও বাইরে খান না। তাঁর রান্না করেন তাঁর সঙ্গেই সফররত ভ্যাটিকান দূতাবাসের পাচক। সূত্রের খবর, বঙ্গভবনে পোপ খেয়েছেন চিকেন স্যালাড, পিৎজা আর জুস। পোপের জন্য সাজানো হচ্ছে রিকশা। কালই রিকশা চড়বেন তিনি।