এ বারে ঢাকায় একুশে বইমেলার উদ্বোধনে হাজির থাকবেন কবি শঙ্খ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে ঢাকায় শুরু হওয়া একুশে বইমেলার উদ্বোধনে এ বার সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কবি শঙ্খ ঘোষ। ঢাকার তথ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, বর্ষীয়ান কবি এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
একুশের ভাষা আন্দোলনের ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিত ঢাকার একুশে বইমেলার উদ্বোধনে প্রতি বছর এক জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। শঙ্খ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুস্থ থাকলে এ বারে ঢাকায় একুশে বইমেলার উদ্বোধনে তিনি হাজির থাকবেন। এক মাস ধরে চলা মেলাটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একাত্তরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরের বছরে ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে চটের টুকরোয় শরণার্থী লেখকদের ৩২টি বই সাজিয়ে ‘অমর একুশের গ্রন্থমেলা’ শুরু করেন তৎকালীন স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদের কর্ণধার চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭৮-এ মেলাটি পরিচালনার ভার নেয় ‘বাংলা একাডেমি’।
১৯৮৩-তে একাডেমির প্রাঙ্গণে মেলা শুরুর আয়োজন যখন চূড়ান্ত, হুসেইন মহম্মদ এরশাদের সেনাশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র মিছিলে সেনাবাহিনী ট্রাক তুলে দিয়ে দুই ছাত্রকে হত্যা করে। সে বছর আর মেলা হয়নি। কিন্তু ১৯৮৪ থেকে সাড়ম্বরে শুরু হয় একুশের বইমেলা। ২০১৪-য় মেলা উঠে যায় সোহরাবর্দি উদ্যানের বড় ময়দানে।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ কোটি টাকা শীঘ্রই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে দেওয়া হবে। ভবনটির উদ্বোধন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এই অর্থ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। ডেপুটি হাই কমিশনের প্রথম সচিব মোফাখ্খারুল ইকবাল জানান, এই অর্থ তাঁদের হাতে চলে এসেছে। একটি অনুষ্ঠান করে তা উপাচার্যের হাতে তুলে দেওয়া হবে।