সিলেটের বহুতল ‘আতিয়া মহলে’ সেনা-পুলিশের অভিযানে নিহত চার জঙ্গির এক জনের সঙ্গে নব্য জেএমবি-র মাথা মাইনুল ইসলাম ওরফে মুসার চেহারার মিল পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জঙ্গি-বিরোধী শাখার এক কর্তা জানিয়েছেন, মুসার পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড় বিস্ফোরণেও মুসা নামে এক জঙ্গি নেতাকে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) খুঁজছে। তবে দুই মুসা এক কি না, বাংলাদেশ পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেখছে।
সিলেটে পাঁচ দিন অভিযানের পরে জঙ্গিদের নিকেশ করা গিয়েছে। কিন্তু সেখানে জঙ্গিরা যে ভাবে প্রতিরোধ চালিয়েছে, তাতে পুলিশের মনে হয়েছে— কোনও মাথা এই ডেরায় ছিল। কাওসার আলি নামে এক জনের ছবি দিয়ে বহুতলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছিল জঙ্গিরা। জঙ্গি-বিরোধী শাখার এক কর্তা জানাচ্ছেন— সেই ছবির সঙ্গে পুলিশের কাছে থাকা মুসার ছবির মিল অনেকটাই। রাজশাহির বাগমারায় গণিপুর ইউনিয়নে মুসার বাড়ি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ মুসা একটি স্কুলে শিক্ষকতা করত। পরে সে জেএমবি-তে যোগ দেয়। জঙ্গিদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, তার নেতৃত্বেই আইএস-এর অনুপ্রেরণায় নতুন করে গড়ে উঠেছিল নব্য জেএমবি। এর আগে জেএমবি নিজেদের আল কায়দার শাখা বলে দাবি করত।