Special Intensive Revision

নিজের মামাশ্বশুরকে বাবা বানিয়ে আধার-সহ বিভিন্ন নথিবদল ভাগ্নিজামাইয়ের, থানার দ্বারস্থ বৃদ্ধা

জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা অমল দাসের পাঁচটি কন্যা। কোনও পুত্রসন্তান নেই। অমলের ভাগ্নিজামাই বিকাশ দাস বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসাবে রয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৩:০৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

সম্পর্কে মামাশ্বশুর। তবে এক দশক ধরে তাঁর পরিচয় ছিল ভাগ্নিজামাইয়ের বাবা হিসাবে। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) প্রক্রিয়া শুরু হতেই নজরে আসে ভাগ্নিজামাইয়ের কাণ্ড। এর পরেই ভাগ্নিজামাইয়ের উপর ভরসা রাখতে না পেরে বক্সিরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামাশ্বশুর। ঘটনাটি তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের শালবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশরাজা এলাকার। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

Advertisement

জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা অমল দাসের পাঁচটি কন্যা। কোনও পুত্রসন্তান নেই। অমলের ভাগ্নিজামাই বিকাশ দাস বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসাবে রয়েছেন। অমলের অভিযোগ, সম্প্রতি এসআইআরের কাজ শুরু হতেই তাঁর নজরে আসে বিকাশ তাঁকে বাবার পরিচয়ে ভোটার কার্ড-সহ অন্যান্য নথি তৈরি করে ফেলেছেন। কিন্তু বিকাশের সঙ্গে তাঁর রক্তের কোনও সম্পর্ক নেই। এমন কি বিকাশের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের বনিবনাও নেই। যে কোনও সময় বিকাশ সম্পত্তির দাবিও করে বসতে পারে বলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অমল। তাই তিনি পুলিশের দারস্থ হন। তাঁর এই অভিযোগের পর স্বাভাবিকভাবেই এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিকাশ আদতেও ভারতীয় কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

অমলের প্রতিবেশী প্রসেনজিৎ রাভা বলেন, “আমরা জানি অমলের ভাগ্নিজামাই বিকাশ। বিয়ের পর থেকে এই গ্রামেই ঘরজামাই হিসাবে থাকছেন। কিন্তু এসআইআর শুরু হতেই আমরা জানতে পারি, মামাশ্বশুর অমলকে বাবা বানিয়ে সরকারি নথি তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। সে বাংলাদেশের কি না তা আমাদের জানা নেই। কিন্তু কেন সে এমনটা করল তাও আমাদের কাছে অজানা।”

Advertisement

অন‍্য দিকে, মামাশ্বশুর থানায় অভিযোগ জানানোর পর থেকেই নিরুদ্দেশ বিকাশ। শুক্রবার বিকাশের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দরজায় ঝুলছে তালা। কোথায় গিয়েছেন তা কারও জানা নেই। স্থানীয়দের ধারণা, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর বিকাশ গা ঢাকা দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement