দেড় মাস পরে ফিরলেন ঢাকার শিক্ষক

মোবাশ্বর বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তাঁর ও এ রকম বহু মানুষের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বাহিনীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী বিএনপি-র নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঢাকা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

নিখোঁজ হওয়ার দেড় মাস পরে বাড়ি ফিরেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বর হাসান সিজার। শুক্রবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘‘কিছু দুষ্কৃতী টাকার জন্য আমাকে অপহরণ করেছিল। অন্ধকার ঘরে ময়লা তোষকে শুয়ে, ঠান্ডা খাবার খেয়ে দেড় মাস কাটিয়েছি।’’ মোবাশ্বর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চোখ বেঁধে তাঁকে একটি গাড়িতে চাপিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরের কাছে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে অটোরিকশায় তিনি বাড়ি ফেরেন।

Advertisement

মোবাশ্বর বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে নিয়ে গবেষণা করছিলেন। তাঁর ও এ রকম বহু মানুষের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বাহিনীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী বিএনপি-র নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন, নিখোঁজদের সন্ধান করছে পুলিশ। প্রায় আড়াই মাস নিখোঁজ থাকার পরে মঙ্গলবার বাড়ি ফিরেছেন সাংবাদিক উৎপল দাসও। তিনিও সাংবাদিকদের কাছে যে বয়ান দিয়েছে, তা অনেকটা মোবাশ্বরের মতোই। তাঁকেও চোখ বেঁধে একটি গাড়িতে চাপিয়ে নারায়ণগঞ্জের কাছে নামিয়ে দেওয়া হয় বলে উৎপল জানান। বিরোধীরা তাই বলছেন, আসলে একই কথা বলার শর্তে গোয়েন্দারা তাদের ছেড়েছে। কিছু দিন আগে অনিরুদ্ধ রায় নামে এক ব্যবসায়ীও দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পরে ফিরে আসেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে লিখিত বিবৃতি দিয়ে বলেন ‘আমি ব্যবসায়িক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।’

মোবাশ্বর বলেন, অপহরণকারীদের সঙ্গে তাঁর খুব একটা কথাবার্তা হয়নি। তবে তারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতো, তাঁকে মারা হবে না ছাড়া হবে— তা নিয়ে। মোবাশ্বর নিখোঁজ হওয়ার পরে বোন তামান্নাই থানায় ডায়েরি করেছিলেন। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ভাই শারীরিক ভাবে মোটামুটি। তবে মানসিক ভাবে খুবই বিপর্যস্ত।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন