সীমান্ত পার হয়ে জামাত-জঙ্গিরা আশ্রয় নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রতীকী ছবি।
সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি-দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায়নি বলে স্বীকার করল ঢাকা।
সম্প্রতি একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি বলেন, ‘‘দু’দেশের সরকার যতটা পারছে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের মোকাবিলা করছে। তার পরেও এমন কিছু ঘটনা ঘটছে। এটা দু’দেশের একটি সাধারণ সমস্যা।’’
বিদেশমন্ত্রী নিজে দিনাজপুরের মানুষ। ঢাকার স্টেট গেস্ট হাউস ‘যমুনায়’ ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দিনাজপুর থেকেও সীমান্ত পার হয়ে জামাত-জঙ্গিরা আশ্রয় নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের কী করণীয়? মাহমুদ বলেন, ‘‘ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের সমস্যার দিকটি সামলাতে হবে। আমরা আমাদের দিকটা দেখছি। ভারত আমাদের হাতে জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্য তুলে দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এমন ঘটনা বহু ঘটেছে।’’
তবে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ জঙ্গি-বিরোধী অভিযানে জোর দেওয়ায় সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো দরকার বলে মনে করছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কারণ ও পার থেকে তাড়া খেয়ে দুষ্কৃতীদের এ পারে চলে আসার নজির রয়েছে।
গুলশনে হোলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলার পর ধারাবাহিক অভিযানে হুজি, নয়া জেএমবি-সহ বেশ নানা জঙ্গি সংগঠনের অন্তত ৭০ জনকে নিকেশ করা গিয়েছে বলে বাংলাদেশ পুলিশ সূত্রে খবর। মোট ১৮৪টি সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৩৪ জনকে। এদের মধ্যে ৪২৯ জনই নয়া জেএমবি।