Bangladesh News

ভারতে ঢুকছে জঙ্গি, বাংলাদেশের পাঠানো রিপোর্ট নিয়ে তত্পর ভারত

রিপোর্টটা গত বছরের। কিন্তু, তাও স্বস্তিতে নেই ভারত। সেই রিপোর্টকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। আগামী মাসেই ভারত সফরে দিল্লি আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ১৯:৩৬
Share:

রিপোর্টটা গত বছরের। কিন্তু, তাও স্বস্তিতে নেই ভারত। সেই রিপোর্টকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। আগামী মাসেই ভারত সফরে দিল্লি আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকে এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচ না হবে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

কী আছে সেই রিপোর্টে?

ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বাড়ছে। প্রচুর পরিমাণে জঙ্গি ঢুকছে এ দেশে। সম্প্রতি এ বিষয়ে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ। ওই রিপোর্ট অনুয়াযী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করছে। এ জন্য তারা নদীপথ এবং অসম ও ত্রিপুরা সীমান্ত ব্যবহার করছে। পরে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৬ সালে এই সব সীমান্ত ব্যবহার করে ২০১৫ সালের চেয়েও বেশি জঙ্গি প্রবেশ করেছে ভারতে। ২০১৫-র চেয়ে ২০১৬ সালে ৩ গুণ বেশি জঙ্গি প্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিরা হরকাতুল জিহাদি আল-ইসলামি(হুজি) ও জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের(জেএমবি) চরমপন্থী সদস্য।

Advertisement

আরও খবর: ভাষাই ধরিয়ে দিল হায়দরাবাদে লুকিয়ে থাকা বাংলাদেশি জঙ্গি ইদ্রিশ আলিকে

২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার সঙ্গে জেএমবির যোগসূত্র ছিল। ওই হামলায় অন্তত দু’জন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়। ২০১০ সাল থেকেই ওই তিন রাজ্যে সক্রিয় রয়েছে জেএমবি ও হুজি। এ সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত অবাধে ব্যবহার করেছে ৭২০ জঙ্গি। একই সময়ে অসম ও ত্রিপুরা দিয়ে প্রবেশ করেছে অন্তত ১,২৯০ জন সন্দেহভাজন।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এ দেশে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা ৮০০ ও ৬৫৯ জন। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করতে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ সম্পর্কে অসম পুলিশকেও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান। অন্য দিকে, অসম পুলিশের এডিজি পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গত ছয় মাসে অন্তত ৫৪ জন জেএমবি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের জন্য রাজ্যসভার সদস্য ও শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তাঁরা নিয়মিত সীমান্ত পরিদর্শন ও এ বিষয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন