বন্দুক সরবারহ হচ্ছিল দুই জায়গায়। তার আগেই ‘ডেলিভারি বয়’ পাকড়াও হয়েছেন। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বরাত দেওয়া হয়েছিল বন্দুক এবং গুলির। সেগুলো ‘খদ্দেরের’ হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে অপেক্ষা করছিলেন ‘ডেলিভারি বয়।’ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে হাতেনাতে ধরল পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর টাউন থানার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের কাছ থেকে মোট পাঁচটি বন্দুক, ১৮টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন আগ্নোয়স্ত্র এবং গুলি ‘ডেলিভারি’ করতে গিয়েছিলেন। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বরাত দিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদের ধরার চেষ্টা চলছে।
ধৃত ‘ডেলিভারি বয়’ খড়্গপুরেরই বাসিন্দা। নাম দীপঙ্কর শুক্লা। শহরের কুমারপাড়ায় তাঁর বাড়ি। শনিবার রাতে নিমপুরা এলাকা থেকে তিনি পুলিশের হাতে আটক হন। পরে গ্রেফতার হয়েছেন। রবিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্রে খবর, ধৃতের ব্যাগ থেকে চারটি বন্দুক এবং ট্রাউজ়ার্সের পকেট থেকে একটি গুলিভর্তি বন্দুক পাওয়া যায়। এ ছাড়াও একটি ছুরি পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে ১৮টি কার্তুজ। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত করছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। রবিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক খড়্গপুরের এসডিপিও ধীরাজ ঠাকুর বলেন, ‘‘পিস্তল থেকে দেশি বন্দুক, সবই ছিল অভিযুক্তের কাছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, খরিদা এলাকার বাসিন্দা আর উমেশ কুমার এবং ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের রাধেশ্যাম সিংহকে ওই অস্ত্র দিতে গিয়েছিলেন। এর আগেও অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে উমেশের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, মাদক মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন রাধেশ্যাম। দীপঙ্করের বিরুদ্ধেও আগে ৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। কোথা থেকে ওই অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল তার খোঁজ চলছে।’’