Cardiac Treatments

হৃদরোগের জন্য কোন চিকিৎসা পদ্ধতি কার্যকর? জানালেন বিশেষজ্ঞরা

হৃদরোগ বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? কী ভাবেই বা এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:০১
Share:

প্রতীকী চিত্র

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এ এমন এক অসুখ যা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। বলা বাহুল্য, বর্তমানে তরুণ প্রজন্মও ভীষণভাবে এই রোগের শিকার।

কিন্তু এই হৃদরোগ বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? কী ভাবেই বা এই রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

সম্প্রতি মুকুন্দপুর মণিপাল হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, এমবিবিএস, এমডি (মেডিসিন), ডিএনবি (কার্ডিওলজি), এফএসসিএআই এবং এফএসিসি, চিকিৎসক পারিজাত দেব চৌধুরী; এমবিবিএস, এমডি (মেডিসিন), ডিএম (কার্ডিওলজি), চিকিৎসক অমিত ভায়োলা এবং এমবিবিএস, ডিএমআরটি, এমএস (জেনারেল সার্জারি), ডিএনবি (জেনারেল সার্জারি), এফআরসিএস (এডিনবার্গ), ডিএনবি (কার্ডিওথোরাসিক ও ভাসকুলার সার্জারি), এফএমসি (অস্ট্রেলিয়া), চিকিৎসক অরিজিৎ দত্ত, এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন।

বিশদে জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:

মুকুন্দপুর মণিপাল হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক পারিজাত দেব চৌধুরী, অমিত ভায়োলা এবং অরিজিৎ দত্ত হৃদরোগ বেড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে আলোচনায় বসেন

চিকিৎসক অমিত ভায়োলা বলেন, “রোগী যখন জরুরি বিভাগে আসেন, তখন আমাদের দেখতে হয় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কতক্ষণের মধ্যে তিনি এসেছেন। ৬ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে যদি রোগী আসেন তা হলে তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্যাথ ল্যাব-এ নিয়ে গিয়ে অ্যাঞ্জিওগ্রাম, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়। রোগী যদি রাতেও আসেন তাহলেও আমরা চেষ্টা করি যাতে তিনি প্রাথমিক অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির সুবিধা পান।”

হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কখনও বাইপাস করা হয়, আবার কখনও বা স্টেন্ট বসানো হয়। কিন্তু কী ভাবে বোঝা যায় কোন রোগীর জন্য কোনটা সঠিক?

চিকিৎসক অরিজিৎ দত্ত জানান, “হার্ট অ্যাটাকে অস্ত্রোপচার খুব কমই করা হয়, যদি না কোনও জটিলতা দেখা যায়। সাধারণত প্রাথমিক অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়।”

তবে বাইপাসের বদলেও এখন অনেক অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যার সাহায্যে হৃদরোগের চিকিৎসা করা হয়।

চিকিৎসক পারিজাত দেব চৌধুরী বলেছেন, “যাদের আগে বাইপাস ছাড়া অন্য কোনও উপায়ে ঠিক করা যেত না, এখন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মাধ্যমে, অস্ত্রোপচার না করে, বুক না কেটে, মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে রোগীদের ঠিক করতে পারি। তার জন্য অত্যাধুনিক কিছু যন্ত্র লাগে তার সবকটাই মণিপাল হাসপাতালে রয়েছে। আমাদের কাছে আলট্রামডার্ন স্টেন্ট রয়েছে, আবার অত্যাধুনিক যন্ত্রও উপলব্ধ রয়েছে যেমন আইবাস বা ওসিটি, যেগুলি সব জায়গায় উপলব্ধ থাকে না। এই যন্ত্রগুলির মাধ্যমে স্টেন্ট ঠিকভাবে বসল কিনা আমরা বুঝতে পারি।”

মণিপাল হাসপাতালে রয়েছে অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, যার কারণে অস্ত্রোপচারের পর খুব সহজেই তাঁরা সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারেন। চিকিৎসক পারিজাত জানান এই হাসপাতালে সম্পূর্ণ পুনর্বাসন কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে রোগী কী খাবেন, কী ভাবে চলবেন, কী শরীরচর্চা করবেন এই সবকিছু নিয়েই রোগীদের গবেষণা ভিত্তিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়, যা তাঁদের সাহায্য করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যেতে।

এই প্রতিবেদনটি ‘মণিপাল হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন