প্রতীকী চিত্র
যখন কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল ও সংকটজনক হয়ে ওঠে এবং সাধারণ বিভাগে যথাযোগ্যভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না, তখন তাকে ‘আইসিইউ’-তে স্থানান্তরিত করা হয়। এটি হাসপাতালের এমন একটি বিশেষায়িত বিভাগ যেখানে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের ২৪ ঘণ্টা গভীরভাবে নজরদারিতে রাখা হয়।
‘আইসিইউ’-তে রোগীকে ঠিক কী ধরনের পরিষেবা দেওয়া হয়?
১. নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং
২. ভেন্টিলেটর সাপোর্ট
৩. ইনটেনসিভ মেডিক্যাল কেয়ার
৪. যে কোনও ধরনের জরুরি চিকিৎসা
৫. অত্যাধুনিক কোনও চিকিৎসা ব্যবস্থা
রোগীর অবস্থা গুরুতর হলেই চিকিৎসকরা ‘আইসিইউ’-তে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ‘আইসিইউ’ শব্দটি শুনলেই অধিকাংশ মানুষের মনে একরকম ভয় ও আশঙ্কা কাজ করে। অনেকেই মনে করেন, ‘আইসিইউ’ মানেই মৃত্যুর প্রহর গোনা বা অবস্থা একেবারে শেষের দিকে চলে যাওয়া। অথচ বাস্তবে এই ধারণাগুলি বেশিরভাগটাই ভুল।
বিশদে জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
‘আইসিইউ’ সম্পর্কিত ভুল ধারণাগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন চিকিৎসক পায়েল বোস এবং চিকিৎসক চন্দ্রাশিষ চক্রবর্তী।
এই বিষয়ে ইএম বাইপাস, মনিপাল হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক পায়েল বোস এবং মুকুন্দপুর, মনিপাল হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চন্দ্রাশিষ চক্রবর্তী আনন্দবাজার ডট কমকে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
সাধারণত, কোন কোন জায়গা থেকে রোগীকে ‘আইসিইউ’-তে আনা হয়?
যদি রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে, তাকে দ্রুত ‘আইসিইউ’-তে স্থানান্তর করা হয়।
দুর্ঘটনা, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা অন্যান্য গুরুতর সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর আইসিইউতে পাঠানো হয়।
জটিল অস্ত্রোপচারের পরে রোগীকে নিরীক্ষণের জন্য কিছু সময় আইসিইউতে রাখা হয়।
অনেক সময় চিকিৎসা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে রোগীকে উন্নত সুবিধাসম্পন্ন হাসপাতালের ‘আইসিইউ’-তে স্থানান্তর করা হয়।
গুরুতর অসুস্থ রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সরাসরি ‘আইসিইউ’-তে ভর্তি করানো হয়, যেখানে অ্যাম্বুলেন্সেই প্রাথমিক সাপোর্ট দেওয়া হয়।
‘আইসিইউ’ শুধু একটি হাসপাতালের অংশ নয়, এটি একটি জীবনরক্ষাকারী পরিকাঠামো। রোগীর সুস্থতার সম্ভাবনা অনেকাংশে নির্ভর করে এই ইউনিটের দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর। তাই পরিবারের সদস্যদের উচিত রোগীর অবস্থার গুরুত্ব বুঝে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং চিকিৎসক দলের পরামর্শ অনুযায়ী চলা।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘মনিপাল হসপিট্যাল্স, মুকুন্দপুর’—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।