HP Ghosh Hospital

হৃদ্‌রোগ বয়স মানে না, তা হতে পারে আপনারও! আলোচনায় এইচ পি ঘোষ হাসপাতালের চিকিৎসক হেমা মালথি রথ

ধূম্ৰপান হার্ট অ্যাটাকের মুখ্য কারণ যা যে কোনও বয়সীদের ক্ষেত্রেই হতে পারে। তাই যে কোনও তামাকজাত ধূম্ৰপান, তা সে খৈনি হোক কিংবা সিগারেট এড়িয়ে চলা উচিত।

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫ ১৭:২১
Share:

প্রতীকী চিত্র

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চিন্তার কারণ হৃদ্‌রোগে যে শুধুমাত্র বয়স্করাই আক্রান্ত হন তা নয়, তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকলেই এই প্রাণঘাতী রোগের শিকার। কিন্তু কিছু জিনিস মেনে চললে হৃদ্‌রোগ, বিশেষত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে, এইচ পি ঘোষ হাসপাতালের কার্ডিয়োলজি এবং ইন্টারভেনশনাল বিভাগের কনসালটেন্ট চিকিৎসক হেমা মালথি রথ তাঁর বক্তব্য রাখেন, “ধূম্ৰপান এই প্রজন্মের তরুণদের মধ্যে খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধূম্ৰপান হার্ট অ্যাটাকের মুখ্য কারণ যা যে কোনও বয়সীদের ক্ষেত্রেই হতে পারে। তাই যে কোনও তামাকজাত ধূম্ৰপান, তা সে খৈনি হোক কিংবা সিগারেট এড়িয়ে চলা উচিত।”

হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য তিনি জীবনধারা পরিবর্তনের উপরও জোর দেন। দ্বিতীয় মুখ্য কারণ হিসেবে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক চাপ, এ ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাবার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। শুধু তাই নয়, নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসও খুব কম মানুষের মধ্যেই আছে, যা পরোক্ষভাবে শরীরের ক্ষতি করছে।

চিকিৎসক হেমা মালথি বলেন, “এই ব্যস্ত জীবনে শরীরচর্চা করার সময় অনেকেরই হয় না। প্রাত্যহিক জীবনের সূচি হিসেবে শরীরচর্চা অবশ্যই থাকা উচিত। যদি আপনি খুবই ব্যস্ত হন তাহলে অন্তত সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন।”

নিয়মিত শরীরচর্চা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে যা হৃদ্‌রোগের জন্য দায়ী।

বিশদে জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:

হৃদ্‌রোগজনিত সমস্যা নিয়ে আলোচনায় চিকিৎসক হেমা মালথি রথ

কিন্তু কেন হয় ‘হার্ট অ্যাটাক’?

হৃদপিন্ড অনেক শিরা বেষ্টিত। অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা এবং উপরিউক্ত ঝুঁকিগুলির কারণে শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যায়, যা জীবনের যে কোনও পর্যায়ে হতে পারে। রক্ত সঞ্চালন হৃদপিন্ডে ঠিকভাবে না হলেই হার্ট অ্যাটাক হয়। তাই হৃদ্‌রোগের উপসর্গগুলি কখনওই এড়িয়ে যাবেন না।

শ্বাসকষ্ট, একটু হাঁটলেই বুকে ব্যথা, দৌড়াতে গেলে সমস্যা, বুকে চাপ, অল্প কিছু খেলে অথবা না খেলেও গ্যাস, এ সবই হৃদ্‌রোগের উপসর্গ হতে পারে। যখনই রোগীর অসংযত বুকে ব্যথা হচ্ছে, এড়িয়ে না গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ‘ইসিজি’ করা উচিত।

জরুরি পরিস্থিতিতে বড় কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত যেখানে ‘ক্যাথল্যাব’-এর সুবিধা আছে। বুকে ব্যথা শুরু হওয়ার প্রথম ঘন্টার মধ্যেই চেষ্টা করুন রোগীর চিকিৎসা শুরু করতে। বেলুন, স্টেন্ট অথবা অন্যান্য উন্নত পদ্ধতির মাধ্যমে রক্তনালী থেকে রক্ত জমাট বাঁধা আটকানো হয়, যার ফলে রোগী সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে যেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন একটি সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখতে যাতে হৃদ্‌রোগ আপনাকে কাবু না করতে পারে এবং অবশ্যই উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩৬৬৩৪৬৬৩৪

বিশদে জানতে ভিজ়িট করুন: https://hpghoshhospital.com/

এই প্রতিবেদনটি ‘এইচ পি ঘোষ হাসপাতাল’—এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন