‘মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ নেফ্রোলজি এবং ইউরোলজি’ কিডনি-সংক্রান্ত সমস্যার জন্য সর্বাঙ্গীন চিকিৎসা প্রদান করে
উচ্চ রক্তচাপ হোক কিংবা ডায়াবেটিস, শরীরের বিভিন্ন কারণের জন্য কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। এখন কিডনি সংক্রান্ত যে কোনও অসুখই চিকিৎসা করতে পারবেন সহজেই কারণ ব্যাঙ্গালোরের মতো কলকাতাতেও ‘মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ নেফ্রোলজি এবং ইউরোলজি’ প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে, যেখানে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।
কিন্তু এই ইনস্টিটিউটের বিশেষত্ব কী?
সম্প্রতি ‘মণিপাল হাসপাতাল’-এর নেফ্রোলজি এবং কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিভাগের ডিরেক্টর – টিম নেফ্রোলজি এবং কনসালটেন্ট চিকিৎসক উপল সেনগুপ্ত, ক্লিনিকাল লিড – নেফ্রোলজি এবং কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট এবং টিম নেফ্রোলজির সদস্য চিকিৎসক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়, কনসালটেন্ট – নেফ্রোলজি এবং কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট এবং টিম নেফ্রোলজির সদস্য, চিকিৎসক স্মার্ত পুলাই এবং কনসালটেন্ট – নেফ্রোলজি এবং ট্রান্সপ্লান্ট ফিজিশিয়ান চিকিৎসক হিমাদ্রি কোলে, এই নিয়ে আলোচনায় বসেন।
চিকিৎসক উপল সেনগুপ্ত বলেন, “এটি ৩৬০ ডিগ্রি কিডনি কেয়ার প্রতিষ্ঠান। সব বয়েসের রুগীর কিডনির সমস্ত রকম সমস্যা যেমন ক্রনিক কিডনি রোগ, অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি এবং রেনাল ট্রান্সপ্লান্টেশনের চিকিৎসা এখানে করা হয়।”
বিশদে জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন:
চিকিৎসক উপল সেনগুপ্ত, অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্মার্ত পুলাই এবং হিমাদ্রি কোলে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসেন।
এই ‘অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি’ কী?
চিকিৎসক সেনগুপ্তর কথায়, “হার্ট অ্যাটাক এবং ব্রেন স্ট্রোকের মতো এটিকে কিডনি অ্যাটাক বলে আমরা জেনে থাকি। এই রোগটি চিকিৎসা করার জন্য আমাদের রেনাল আইসিইউ রয়েছে।”
এমন অনেক রোগী থাকেন যাদের সেপ্টিসেমিয়া - লো ব্লাড প্রেসার থাকার জন্য ডায়ালিসিস করা সম্ভব হয় না। কিন্তু ‘মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ নেফ্রোলজি এবং ইউরোলজি’-তে এমন অনেক সুবিধা রয়েছে যেখানে এই সকল রোগীদের চিকিৎসা করা সম্ভব।
চিকিৎসক স্মার্ত পুলাই বলেন, “এই সমস্ত রোগীদের জন্য এখানে ‘সিআরআরটি মেশিন’ আছে। অর্থাৎ ‘কন্টিনিউআস রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি’। এতে ডায়ালিসিস যেমন কিডনির কাছ থেকে ৪ বার ৬ ঘন্টায় করা হয়, ঠিক তেমনই আরও ধীরভাবে কিডনির কাছ থেকে করা হয়, যাতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা ২৪-৭২ ঘন্টা বিশেষ আলাদা মেসিন ও ফিল্টারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়।”
আবার ক্রনিক কিডনি রোগ এখন মহামারীর রূপ নিয়েছে। এই রোগের অন্যতম মূল কারণ হল ‘সিকেএম’ অর্থাৎ ‘কার্ডিয়ো কিডনি মেটাবলিক সিনড্রোম’। এই ‘সিকেএম সিনড্রোম’-থেকে ক্রনিক কিডনি রোগের কী রকম চিকিৎসা করা যায়?
চিকিৎসক হিমাদ্রি কোলে বলেন, “ক্রনিক কিডনি রোগের কারণগুলি যদি সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা যায় এবং সেই মতন থেরাপি দেওয়া যায়, তাহলে এই রোগের যে অগ্রগতি সেটিকে বিলম্বিত করা সম্ভব। আবার কারোর যদি এই রোগ বেড়ে যায়, তাহলে চিকিৎসা হিসেবে রয়েছে ডায়ালিসিস এবং প্রতিস্থাপন।”
কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রশ্ন যখন আসে তখন অনেকসময়েই ডোনার পাওয়া যায় না, আবার ব্লাড গ্রুপ যদি না মেলে তা হলে প্রতিস্থাপন করা থেকে পিছিয়ে আসতে হয়। এমতাবস্থায় কী করা উচিত?
চিকিৎসক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই সমস্যাটাকেই আমরা এখন অতিক্রম করতে পারছি ‘এবিয়ো ইনকম্পাটিবল ট্রান্সপ্লান্ট’-এর সাহায্যে। আগে যেমন নিয়ম ছিল যে শুধু এ ব্লাড গ্রুপ, এ ব্লাড গ্রুপ কে দিতে পারবে, সেটাকেই আমরা অতিক্রম করে উঠতে পেরেছি অত্যাধুনিক পদ্ধতির সাহায্যে, যেভাবে অ্যান্টিবডিগুলিকে শরীর থেকে বের করে দিয়ে সেই রোগীকে অন্য ব্লাড গ্রুপ থেকে রক্ত ট্রান্সফার করা যায়। এছাড়াও এখানে ‘সোয়াপ ট্রান্সপ্ল্যান্ট’ প্রোগ্রাম চালু আছে।”
এই সকল সুবিধা যেমন এই ইনস্টিটিউটে রয়েছে, ঠিক তেমনই শিশুদের কিডনি সমস্যার সমাধানও এখানে করা হয়। ‘মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ নেফ্রোলজি এবং ইউরোলজি’-র লক্ষ্য যাঁদের কিডনি খারাপের দিকে যাচ্ছে তাঁদের পুনরায় সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
এই প্রতিবেদনটি ‘মণিপাল হাসপাতাল’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।