শিক্ষাবিদ, শিল্পী ও বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হল ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’-র ২০২৫-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠান
সম্প্রতি ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’-র ২০২৫-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠান, নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হল। শিক্ষাবিদ, শিল্পী ও বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল অনন্য। স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি কোর্সে দু হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী তাঁদের ডিগ্রি অর্জন করলেন এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সোনা, রূপো ও ব্রোঞ্জ পদক।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতনামা ব্যক্তিদেরকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ লিটারেচার (ডি. লিট.) ডিগ্রি প্রদান করা। এই সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন—
কিংবদন্তি প্লেব্যাক এবং গজল শিল্পী, পদ্মশ্রী হরিহরণ অনন্ত সুব্রহ্মণ্যম, সমাজসেবী ও উদ্ভাবক, বিশ্বখ্যাত ‘প্যাডম্যান’, পদ্মশ্রী অরুনাচলম মুরুগানান্থাম, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী রঘুনাথ আনন্ত মাসেলকর, বিশিষ্ট রসায়ন প্রকৌশলী ও প্রাক্তন মহাপরিচালক, সিএসআইআর, প্রসিদ্ধ ডিজ়াইনার, দৃশ্যপট নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক কিউরেটর, পদ্মভূষণ রাজীব শেঠি, খ্যাতনামা শাস্ত্রীয় এবং হিন্দুস্তানি সঙ্গীত শিল্পী পদ্মশ্রী শুভা মুদগল, স্নায়ুবিজ্ঞানী এবং মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণার প্রবক্তা সুমন্ত্র চট্টোপাধ্যায়, কালিনারি অ্যানথ্রোপোলজিস্ট, রেস্তোরাঁ উদ্যোক্তা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষক (দার্জিলিং এক্সপ্রেস, লন্ডন) আসমা খান, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেত্রী ও লেখিকা অপর্ণা সেন, বিশ্বখ্যাত জাদুকর ও অভিনেতা পদ্মশ্রী পি.সি. সরকার (জুনিয়র), বিশিষ্ট স্নায়ুবিশেষজ্ঞ হৃষিকেশ কুমার এবং পরিচালক, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম) কলকাতা অলোক কুমার রায়।
‘গুগল ইন্ডিয়া’-র হেড অফ এডুকেশন সঞ্জয় জৈন বলেন, “ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাস অনযুায়ী আগামী দশ বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ১৭০ মিলিয়ন নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করবে। ‘এ-আই’ চাকরি কেড়ে নিচ্ছে না—বরং নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে । আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আপনারা কেবল চাকরি প্রার্থী নন, ভবিষ্যতের চাকরি স্রষ্টা। ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’ এবং গুগলের মত বৈশ্বিক নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আপনাদেরকে নতুন কোম্পানি গড়তে, বাজার গঠন করতে এবং ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে সক্ষম করে তুলছে।”
‘আইবিএম ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড’ জগদীশ ভাট বলেন, “টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি শিক্ষা, উদ্ভাবন ও স্থায়িত্বকে একত্রিত করে উচ্চশিক্ষাকে নতুন সংজ্ঞা দিয়েছে । ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’-র ‘স্কুল অফ দ্য ফিউচার’ আজ ভারতের এক মানদণ্ড, যেখানে শ্রেণিকক্ষের জ্ঞান বাস্তব শিল্পক্ষেত্রের চর্চার সঙ্গে মিলিত হয়। আমরা গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, উদীয়মান প্রযুক্তিতে আইবিএম সফটওয়্যার ল্যাব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অ্যানালিটিক্স প্রভৃতি ক্ষেত্রে ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স’ চালু হচ্ছে। ভবিষ্যৎ ‘এআই’ নির্ভর এবং ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’-র শিক্ষার্থীরা সেই ভবিষ্যতকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। ‘আইবিএম–টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’-এর সহযোগিতা হল এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যে খানে শিক্ষা ও শিল্প একসঙ্গে ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছে।”
সমাবর্তন শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রা, জাতীয় সঙ্গীত এবং আচার্য, সহ-আচার্য এবং উপাচার্যের ভাষণের মাধ্যমে। অনুষ্ঠান শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অ্যাকাডেমিক সম্মান ও চ্যান্সেলরের গোল্ড মেডেল প্রদানের মধ্য দিয়ে।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’—এর সঙ্গে এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।