ফাইল চিত্র।
বিলগ্নিকরণ বা বিক্রির আগে না কি খরচ কমাতে কর্মী কমানোর পথে হাঁটতে পারে এয়ার ইন্ডিয়া। স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাব দিতে পারে প্রায় ১৩ হাজার কর্মীকে। সংস্থা সরাসরি অস্বীকার করলেও পদস্থ কর্তাকে উদ্ধৃত করে এমনই খবর সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের।
সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহণ সংস্থাটির বেসরকারিকরণ বা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এখন সেখানে কর্মী সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। সংবাদ সংস্থার খবর, তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশকে (অন্তত ১৩ হাজার) স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের আওতায় আনার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ, ২০১৮ সালে সংস্থা বিক্রির আগে এ ভাবে ধাপে ধাপে খরচ কমাতে চায় তারা।
সংস্থা অবশ্য স্বেচ্ছাবসরের কথা অস্বীকার করে বলেছে, কর্মীস্বার্থ দেখা হবে। এই মর্মে মঙ্গলবারই সিএমডি অশ্বিনী লোহানির কাছ থেকে সমস্ত কর্মীর কাছে ই-মেল এসেছে। লোহানির দাবি, ‘‘ঘাড়ে চেপে থাকা ৫০ হাজার কোটি টাকার দেনা শোধ করা যায়নি বলেই ওই সিদ্ধান্ত।’’
সম্প্রতি মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পরে বাড়তি বিমান কেনা থেকে সরে এসেছে সংস্থা। অভিযোগ, ২০১২ -র পর থেকে কেন্দ্র সংস্থাকে বাঁচাতে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ঢাললেও লোকসানের বহর সে ভাবে কমেনি। প্রশ্ন উঠেছে, পরিকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে খরচ না-করে কেন এই সংস্থায় সাধারণ মানুষের করের টাকা ঢালা হবে? সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার কিছু উড়ান পরিষেবা চালাতে আগ্রহও দেখিয়েছে ইন্ডিগো।
কর্মীদের একাংশ অবশ্য মনে করেন, স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প প্রাথমিক ভাবে ‘গ্রাউন্ড স্টাফ’দের জন্যই চালু হবে। পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার বা বিমানসেবক-সেবিকাদের উপরে তার প্রভাব পড়বে না।