চলতি আর্থিক বছরে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.৩ শতাংশে বহাল রাখলেও, বিভিন্ন রাজ্যে কৃষি ঋণ মকুবের হিড়িকে উদ্বিগ্ন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাদের আশঙ্কা, এতে সম্ভাবনা তৈরি হবে রাজকোষ ঘাটতি মাত্রাছাড়া হওয়ার। অপচয় হবে মানুষের করের টাকা। তার খারাপ প্রভাব পড়বে অর্থনীতির উপরেও।
একই সঙ্গে, অর্থনীতির চাকায় গতি আনতে কয়েকটি ক্ষেত্রের উপরে বাড়তি জোর দেওয়ার কথাও বলেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তাদের পরামর্শ, বৃদ্ধির হারকে চাঙ্গা করতে বেসরকারি লগ্নির অঙ্ক বাড়া জরুরি। নজর দিতে হবে অনুৎপাদক সম্পদে রাশ টানা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে। এই একই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলেছে তারা।
মন্দসৌর কাণ্ডের পরে চাষিদের বিক্ষোভ ও ভোট-রাজনীতির কথা মাথায় রেখে কৃষি-ঋণ মকুবের পথে হাঁটছে একের পর এক রাজ্য। অথচ জুনে শীর্ষ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট দেখিয়েছিল, রাজকোষ ঘাটতি আশঙ্কাজনক ভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছে তাদের। এখন কৃষি-ঋণ মকুবে একে-অন্যকে ‘টেক্কা দেওয়া’র এই বাজারে ওই ঘাটতির ছবি আরও মলিন হওয়ার আশঙ্কা।
আরও পড়ুন: রেপো রেট কমল, কমছে বাড়ি-গাড়ির ঋণের সুদ
মাথায় ঘাটতির বিপুল বোঝা নিয়েও ঋণ মকুবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কর্নাটক ইত্যাদি রাজ্য। এ জন্য সম্ভাব্য খরচ যথাক্রমে ৩৬৩৫৯, ৬০০০, ৩৪০০০, ২০০০০ ও ৮০০০ কোটি টাকা। শীর্ষ ব্যাঙ্কের আশঙ্কা, এই দায় ঘাড়ে চাপলে আর্থিক শৃঙ্খলা ধাক্কা খাবে রাজ্যগুলির।
অনুৎপাদক সম্পদে রাশ টানতেও কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ের কথা বলেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। কিছু দিন আগেই ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য জানিয়েছিলেন, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির হিসেবের খাতা থেকে অনুৎপাদক সম্পদ মুছে ফেলাকেই এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা।