Digital Technology

এজি-র কাছে তথ্য অনলাইনে

অর্থ দফতর সূত্রে খবর, প্রতিটি ট্রেজ়ারি, পাবলিক অ্যাকাউন্ট অফিস-সহ সব শাখাকে প্রতি মাসে এজি-র কাছে খরচের তথ্য পাঠাতে হয়। দিতে হয় টাকা মেটানোর নথি, নগদ অ্যাকাউন্ট, রসিদ, বিল, ভাউচার, চালান ইত্যাদির ভিত্তিতে তৈরি ফাইল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:১৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থা (আইএফএমএস) এবং অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলকে (এজি) অনলাইনে সংযুক্ত করছে রাজ্য সরকার। ফলে এখন থেকে এজি-র কাছে তাদের খরচ সংক্রান্ত সব হিসাব-নিকাশের নথি যাবে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে। আর্থিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ খরচ নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোরের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

অর্থ দফতর সূত্রে খবর, প্রতিটি ট্রেজ়ারি, পাবলিক অ্যাকাউন্ট অফিস-সহ সব শাখাকে প্রতি মাসে এজি-র কাছে খরচের তথ্য পাঠাতে হয়। দিতে হয় টাকা মেটানোর নথি, নগদ অ্যাকাউন্ট, রসিদ, বিল, ভাউচার, চালান ইত্যাদির ভিত্তিতে তৈরি ফাইল। তবে তাতে সময় লাগে। খরচও হয় অনেক। তাই এজি কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনায় বৈদ্যুতিন ব্যবস্থা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, সার্ভার মারফত সংযুক্ত থাকবে আইএফএমএস এবং এজি-কার্যালয়। তবে জানুয়ারির হিসাব অনলাইনের পাশাপাশি সরাসরিও জমা হবে।

রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে নয়াদিল্লির পাঠানো বরাদ্দের খরচ এবং তার শংসাপত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে সিএজি। বিজেপির অভিযোগ, লক্ষাধিক টাকা খরচের নথি সময় মতো পাঠায়নি রাজ্য। একশো দিনের কাজ বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বরাদ্দ আটকে রাখার নেপথ্যেও সেটাই কারণ বলে জল্পনা। এ নিয়ে বঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। রাজ্যের দাবি, খরচের সব নথি তথা শংসাপত্র কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে। এ কথা জানিয়ে এবং হস্তক্ষেপ দাবি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্লেষকদের মতে, অনলাইনে নথি পাঠালে বিলম্বের থেকে মিলতে পারে রেহাই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন