ফের বাড়ছে তেলের দর, সিঁদুরে মেঘ ভারত-পাক উত্তেজনাও

শুধু ফেব্রুয়ারিতেই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়েছে ব্যারেলে ৫ ডলার। সেই সঙ্গে চড়েছে পেট্রল-ডিজেলের দর। আর ডলারে কমেছে টাকা। যার ছাপ পড়ছে দেশে পেট্রোপণ্য দু’টির দামে।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৪৬
Share:

বিশ্ব বাজারে ফের মাথা তুলেছে অশোধিত তেলের দর। আর ভারতে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। কারণ, পেট্রল-ডিজেল ইতিমধ্যেই দামি হয়েছে বেশ খানিকটা। তার উপরে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা যে ভাবে চড়েছে, তা-ও পরোক্ষে উদ্বেগের বাড়তি আঁচ যোগ করছে সেগুলির দরে। আগামী দিনে জ্বালানি দু’টির আরও দাম বাড়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই উত্তেজনা বাড়লে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতের মূলধনী বাজার থেকে মুখ ফেরাতে পারেন। আর তারা লগ্নি ভাঙিয়ে নিলে টাকায় ডলারের দাম আরও বাড়বে। তখন বিদেশ থেকে অশোধিত তেল কিনতে আরও বেশি খরচ হবে দেশের। বিশেষত টাকার দাম পড়ায় ওই খরচ যেখানে এর মধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী।

Advertisement

শুধু ফেব্রুয়ারিতেই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেড়েছে ব্যারেলে ৫ ডলার। সেই সঙ্গে চড়েছে পেট্রল-ডিজেলের দর। আর ডলারে কমেছে টাকা। যার ছাপ পড়ছে দেশে পেট্রোপণ্য দু’টির দামে। চলতি মাসে কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটারে পেট্রল বেড়েছে মোট ১.৪৩ টাকা। ডিজেল ১.৫০ টাকা।

উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রা-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কে রবিচন্দ্রনের বক্তব্য, ভারত-পাক অস্থিরতায় দেশের শেয়ার ও ঋণপত্রের বাজার থেকে বিদেশি লগ্নিকারীরা বিনিয়োগ তুলে নিলে, ডলারের চাহিদা বাড়বে। তার জেরে আরও বাড়বে দাম। ফের মাথা তুলবে অশোধিত তেল কেনার খরচ। যা ঠেলে তুলবে পেট্রল-ডিজেলের দরকে।

Advertisement

সম্প্রতি দামে রাশ টানতে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেকের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা সত্ত্বেও ইরানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, ভেনেজুয়েলায় অস্থিরতা ও ওপেকের উৎপাদন ছাঁটাইয়ে বিশ্ব বাজারে এখনই দাম কমার সম্ভাবনা দেখছে না সংশ্লিষ্ট মহল। বুধবারও ব্রেন্ট ক্রুড ব্যারেলে বেড়ে হয়েছে ৬৬.৫৪ ডলার।

কেন?
• বিশ্ব বাজারে দামি অশোধিত তেল। গত মাস থেকে বেড়েছে ব্যারেলে ১০ ডলারেরও বেশি।
• পেট্রল-ডিজেলও চড়া আন্তর্জাতিক দুনিয়ায়।
• ডলারের তুলনায় ফের টাকার দামের পতন।

হালে সারা বিশ্বই চাইছে শুল্ক যুদ্ধে ইতি টানুক আমেরিকা ও চিন। তবে রবিচন্দ্রন বলছেন, ওই লড়াই থিতিয়ে এলে বিশ্বে তেলের চাহিদা আরও বাড়বে। তখন জোগান না বাড়লে চড়তে পারে দাম। ফলে দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম আগামী কিছু দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলেই আশঙ্কা তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন