আগ্রহী অস্ট্রেলীয় সংস্থা

ফের চালু হতে পারে কোলার সোনার খনি

আবার জেগে উঠতে পারে কোলার স্বর্ণ খনি। দেড় দশক পেরিয়ে নতুন করে উৎপাদন শুরু হতে পারে দেশের অন্যতম পুরনো ও প্রধান এই সোনার খনিতে।

Advertisement
সিডনি শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪২
Share:

আবার জেগে উঠতে পারে কোলার স্বর্ণ খনি। দেড় দশক পেরিয়ে নতুন করে উৎপাদন শুরু হতে পারে দেশের অন্যতম পুরনো ও প্রধান এই সোনার খনিতে।

Advertisement

কর্নাটকের এই খনি থেকে সোনা তুলতে আগ্রহ দেখিয়েছে অস্ট্রেলীয় সংস্থা সিটিগোল্ড। এ জন্য যৌথ ভাবে দরপত্র জমা দিতে তারা গাঁটছড়া বাঁধতে রাজি ভারতীয় সংস্থা এসেল গোষ্ঠীর সঙ্গে। সিটিগোল্ডের এগ্‌জিকিউটিভ চেয়ারম্যান মার্ক লিঞ্চ বলেন, ‘‘ভারতে কাজ করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। তার জন্য স্থানীয় সংস্থার সঙ্গে হাত মেলানো জরুরি।’’ তবে কোলারের বিষয়ে সংস্থা আগেই বিশদে খোঁজখবর নিয়েছে বলেই তাঁর দাবি।

চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের ঘাটতিতে পাকাপাকি ভাবে রাশ টানার জন্য সোনা আমদানি কমাতে চায় কেন্দ্র। এ জন্য এক দিকে সোনা-জমা কিংবা স্বর্ণ বন্ডের মতো প্রকল্প যেমন চালু করা হয়েছে, তেমনই চেষ্টা করা হচ্ছে দেশে সোনার উৎপাদন বাড়ানোর। সম্প্রতি খনন সচিব বলবিন্দর কুমার জানান, এ বছরই অন্তত তিনটি সোনার খনি নিলামে তুলতে চায় কেন্দ্র। সেই পরিকল্পনায় কোলারও সামিল বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

এ দেশে সোনার খনি হিসেবে কোলারের কৌলিন্য অবশ্য চোখে পড়ার মতো। ২০০১ সালে সোনার দর তলানিতে ঠেকায় খনি বন্ধ হওয়ার আগে দেড়শো বছর সোনা তোলা হয়েছে সেখানে। ব্রিটিশ জমানায় কোলারের রমরমা ছিল নজরকাড়া। তাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল আস্ত জনপদ। প্রথম সারির কর্তাব্যক্তিদের জন্য ছিল গল্ফ কোর্স, টেনিস কোর্টও। ১৯২০ সাল নাগাদ ২৪ হাজার জন কাজ করতেন সেখানে। উচ্চপদস্থরা অধিকাংশই ছিলেন ব্রিটিশ ও ইউরোপীয়। দেড়শো বছরে তোলা হয়েছে আড়াই কোটি আউন্স (প্রায় ৭,০৮৭ টন) সোনা।

স্বাধীনতার ন’বছর পরে ১৯৫৬ সালে জাতীয়করণ হয় এই খনির। কিন্তু ক্রমশ লোকসান হতে শুরু করে ১৯৮০ সালের পর থেকেই। তার পরেও অবশ্য দু’দশক সোনা তোলা চলেছিল ওই খনি থেকে। ২০০১ সালে সোনার দর তলিয়ে যাওয়ার পরে যা বন্ধ হয়। কোলার খনির লিজ রয়েছে ভারত গোল্ড মাইনসের হাতে। টেন্ডারে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়ে যা হাতে পেতে কোমর বাঁধছে সিটিগোল্ড-এসেল গোষ্ঠী জুটি। – সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন