গাড়ির মেলায় স্কুলবাস, দুধের ভ্যানও

আজ থেকে গ্রেটার নয়ডায় বসতে চলা ভারতের গাড়ি মেলাতেও (অটো এক্সপো) স্পষ্ট সেই আন্তর্জাতিক ছোঁয়া। মূল বিষয় গতিশীলতার ভবিষ্যৎ।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৪
Share:

প্রস্তুতি: আজ শুরু অটো এক্সপো। গ্রেটার নয়ডায় তারই প্রস্তুতি।

গাড়ি মানে শুধুই ‘লং ড্রাইভ’ নয়। তার দরজায় ডাকপিওনও।

Advertisement

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্ব জুড়ে বদলাচ্ছে গাড়ি ব্যবহারের ভাবনা। যেখানে তার পরিচয় আর শুধু হ্যাচব্যাক, সেডান বা এসইউভি থাকছে না। বরং হাজারো কাজে নানা উপায়ে ব্যবহারের বৈশিষ্ট্য নিয়ে তার যোগ স্পষ্ট হচ্ছে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের সঙ্গে। সেই অনুযায়ী বদলে যাচ্ছে চিরাচরিত চেহারাও।

যে কারণে রোজকারের দেখা গাড়ির বাইরে গিয়ে ভবিষ্যতের ধারণা পেতে দুনিয়া তাকিয়ে থাকে টোকিও মোটর শোর দিকে। চার চাকার নিত্যনতুন নকশার সাক্ষী হতে গাড়িপ্রেমীদের পছন্দের জায়গা প্যারিস মোটর শো। কিংবা আমেরিকার ডেট্রয়েটের অটো শোতে মেলবন্ধন ঘটে ঐতিহ্যশালী পুরনো ও নতুন গাড়ির। সব জায়গায় বার্তা একই— গাড়ি শুধু গন্তব্যে পৌঁছনোর বাহন নয়, বরং জীবনের আরও নানা ক্ষেত্রে গতি আনার অন্যতম হাতিয়ার।

Advertisement

আজ থেকে গ্রেটার নয়ডায় বসতে চলা ভারতের গাড়ি মেলাতেও (অটো এক্সপো) স্পষ্ট সেই আন্তর্জাতিক ছোঁয়া। মূল বিষয় গতিশীলতার ভবিষ্যৎ।

১৮৯৮-এ প্রথম প্যারিসে গাড়ি মেলার গোড়াপত্তনের পরে ডেট্রয়েট, ফ্রাঙ্কফুর্ট, জেনিভা, টোকিও, সাংহাই-সহ নানা জায়গাতেই তা চালু হয়েছে। ভারতে শুরু ১৯৮৬-তে। এই দ্বিবার্ষিক মেলার আয়োজক গাড়ি শিল্পের সংগঠন সিয়াম, যন্ত্রাংশ শিল্পের সংগঠন অ্যাকমা ও সিআইআই। এত দিন মেলায় সাধারণত দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলি নিজস্ব প্যাভিলিয়নে নতুন গাড়ি দেখাত। কখনও বা ভবিষ্যতের ভাবনা তুলে ধরত ‘কনসেপ্ট কার’ রেখে। সিয়ামের মেলা কমিটির চেয়ারম্যান অরুণ মলহোত্র ও ডিডিজি সুগত সেনের দাবি, এ বার চোখে দেখার পাশাপাশি গাড়িগুলির নানা ব্যবহার ও নতুন প্রযুক্তি চেখে দেখার সুযোগ পাবেন দর্শক। এই প্রথম উদ্যোক্তারা আলাদা করে নতুন নতুন ভাবনা তুলে ধরতে সাতটি বিশেষ অঞ্চল (জোন) গড়ছেন। দৈনন্দিন জীবনে গাড়ির বৃহত্তর ব্যবহার বোঝাতে কোনও অঞ্চলে থাকবে দুধের গাড়ি, স্কুলবাস, ডাকের গাড়ি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যান ইত্যাদি। কোথাও টোকিওর মেলার মতো ‘ফিউচার ডিকোডেড’ অঞ্চলে কৃত্রিম পদ্ধতিতে দূষণ কমানোর বৈদ্যুতিক গাড়ি, বিকল্প জ্বালানি বা স্বয়ংক্রিয় গাড়ির প্রযুক্তির হাতেগরম অভিজ্ঞতা।

স্বাধীনতার পরে দেশে সাত দশকে ভারতের গাড়ি শিল্পের বিবর্তন দেখাতে গিয়ে পুরনো-নতুনের মেলবন্ধন ঘটবে আবার আর একটি জোনে। বিবর্তনটি তুলে ধরা হবে আলোচনার মাধ্যমে। থাকবে ভিন্টেজ কার। স্বাধীনতার পর থেকে ঐতিহ্যশালী কিছু গাড়ি, অটো-গেমিং এবং হেরিটেজ ও সুপার কারের জন্য থাকছে আলাদা অঞ্চল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন