যে হারে দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম টানা বেড়েছে, তাতে বিক্রিবাটা নিয়ে আগেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছিল গাড়ি শিল্প মহল। তার উপরে তেলের দাম বাড়ায় মূল্যবৃদ্ধি চড়তে পারে আঁচ করে বার দুয়েক সুদ বাড়িয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ফলে সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত কিছুটা সত্যি হয়েছে আশঙ্কা। উৎসবের আলোয় সেজে ওঠা অক্টোবরে ঝিমিয়ে থেকেছে গাড়ির চাহিদা। অনেক সংস্থার বিক্রিই বেড়েছে বেশ কম হারে।
অক্টোবরে মারুতি সুজুকির গাড়ি বিক্রি হয়েছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মাত্র ১.৫% বেশি। এমনকি তাদের ইউটিলিটি ভেহিক্লগুলির বিক্রি বাড়ার বদলে কমেছে ১১.২%।
পরিসংখ্যান সামান্য ভাল প্রতিদ্বন্দ্বী হুন্ডাইয়ের। তাদের বেড়েছে ৪.৯%। আগের বারের ৪৯,৫৮৮টির তুলনায় এ বার বেড়ে ৫২,০০১টি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, উৎসবের মরসুমে প্রেক্ষিতে তা জৌলুসহীন।
যদিও একাংশের মতে, জিএসটি নিয়ে জল্পনায় গত বছর জুন পর্যন্ত অনেকেই গাড়ি কেনার পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছিলেন। পরে জুলাইয়ে নতুন কর চালুর পরে বিক্রি গতি পায় অগস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ। উৎসবের মরসুম তাতে জোগায় জ্বালানি। ফলে বাড়তি বিক্রি হয়েছিল আগের অক্টোবরে। সেই কারণেও এ বছর বিক্রি বৃদ্ধির হার আগের বারের তুলনায় বেশ কম দেখাচ্ছে।
মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রার প্রেসিডেন্ট (অটোমোটিভ) রাজন ওয়াধেরার অবশ্য দাবি, ‘‘কয়েক মাস ধরেই ঝিমিয়ে যাত্রী গাড়ির বিক্রি। কেনার ইচ্ছেটাই যেন কমে গিয়েছে।’’ তাদের যাত্রী গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৩%। প্রায় একই রকম হাল টয়োটা, হোন্ডার মতো সংস্থার। প্রায় সকলেই দুষছে তেলের দাম এবং উঁচু সুদকে। তবে টাটা মোটরস (১১%), ফোর্ডের বিক্রি বৃদ্ধি নেহাত মন্দ হয়নি।